জয়ন্ত সাহা- মাথাভাঙ্গা
স্থলপথ বাণিজ্যে এখন আর গতি নেই। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন গোলযোগের কারণে আমদানী রপ্তানী প্রায় তলানিতে। ফের কবে চাঙ্গা হবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন দুই পারের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা বন্ধে চরম বিপাকে ভুটানও। এই পথেই চলতো ভুটানের বাণিজ্যও।
ইমিগ্রেশন চেক পোষ্ট দিয়েও যাতায়াত কমেছে ৮০ শতাংশ! এরই মধ্যে কিছুটা খুশির বাতাশ বয়ে এনেছে একটা খুশির খবর। চ্যাংরাবান্ধ স্থল বাণিজ্য কেন্দ্র আধুনিকিকরণের সবুজ সংকেত মিলেছে। বরাদ্দ হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। জমির সমস্যা মিটেছে এক যুগ পরে। রাজ্য সরকার জমি কিনে দিয়েছে। কিছুটা সরকারি খাস জমি। সব মিলিয়ে কাজ শুরুর পথে এগিয়ে চলেছে বিভাগীয় দপ্তর।
আন্তর্জাতিক স্থল বাণিজ্য কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জমি হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে ল্যান্ড পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া। যদি বানিজ্যের গতি স্বাভাবিক হয় তবে আধুনিক স্থল বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ার পর বদলে যাবে আর্থ সামাজিক অবস্থা মানছেন ব্যবসায়ী থেকে লরির শ্রমিক, চালকেরা।
সূত্রের খবর কোচবিহার জেলা প্রসাশন ইতিমধ্যে তারা ল্যান্ড পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার হাতে ২৩ একর জমি তুলে দিয়েছে।
সেখানে গড়া হবে লরি রাখার আধুনিক টার্মিনাস। বাংলাদেশ থেকে পন্য নিয়ে আসা ৭০০ লরি থাকতে পারবে। গড়া হবে ট্রাক চালক ও সহকারীদের জন্য বিশ্রামস্থল, রাতে থাকার জায়গা,আধুনিক টয়লেট। গড়া হবে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের জন্য শুল্ক দপ্তর, ভিসা সেন্টার, বিএসএফ,পুলিশের জন্য আলাদা সেন্টার।
অত্যাধুনিক সেন্টার গড়ার মুখে অবশ্য ভালো নেই চ্যাংরাবান্ধা স্থল বাণিজ্য কেন্দ্র। এতদিন এখান দিয়ে প্রতিদিন ভারত ও ভুটানের সড়ে তিনশো- থেকে চারশো লরি পণ্য নিয়ে যেত। এখন সেই সংখ্যা দুশো অতিক্রম করছে না। ক্ষতির পরিমান বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। ৫ আগষ্টের পর থেকেই চলছে ভাঁটার টান। যতটুকু যাচ্ছে তার মধ্যে পণ্যবাহী লরিতে নিরাপত্তার কারণে চলছে নাকাচেকিং। খুব শ্লথ গতিতে যাচ্ছে এক একটা পণ্যবাহী লরি। লরিগুলিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পণ্য নিয়ে। অনেকেই আপাতত বাণিজ্য থেকে হাত গুটিয়ে রেখেছে।
একদিকে আধুনিক স্থল বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়াকে ঘিরে উচ্ছাস অন্যদিকে ব্যবসায় ভাঁটার টান দুই নিয়েই বিব্রত চ্যাংরাবান্ধা স্থল বাণিজ্য কেন্দ্র ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট।
Comments :0