কর্পোরেট ও বড়লোকদের জন্য তৈরি গরিব-বিরোধী বাজেটে কৃষক, শ্রমিক ও দরিদ্রদের জীবন-জীবিকার ওপর আঘাতের আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারত জুড়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও বাজেট পোড়ানোর ডাক দিল সারা ভারত কৃষকসভা।
শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন, তা গরিব বিরোধী এবং কর্পোরেট ও ধনীদের স্বার্থে। জিডিপিতে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অবদান ১৬ শতাংশে উন্নীত হলেও কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজকর্মের জন্য বাজেট বরাদ্দ ২০২৪-২৫ সালের সংশোধিত অনুমানের চেয়ে কম। যেখানে ২০২৪-২৫ সালের সংশোধিত অনুমান ছিল ৩৭৬৭২০.৪১ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫-২৬ সালের বরাদ্দ মাত্র ৩৭১৬৮৭.৩৫ কোটি টাকা। যখন মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়, তখন এটি বরাদ্দের ওপর একটি বিশাল কাটছাঁট। ২০২০-২১ সাল থেকে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ডে প্রকৃত ব্যয় ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। ফলে, এই বাজেট থেকে স্পষ্ট কৃষকরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের অগ্রাধিকার নয়। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সুনিশ্চিত করা, সংগ্রহ সম্প্রসারণ বা কৃষকদের ঋণ থেকে মুক্ত করার জন্য বাজেটে কিছুই নেই বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কৃষকসভা।
কর্মসংস্থানে কৃষি খাতের বর্ধিত অংশ ২০১৭-১৮ সালে ৪৪.১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৪৬.১ শতাংশে উন্নীত হওয়াও কাজের সুযোগ না থাকার প্রতি ইঙ্গিত করে। অত্যন্ত অসংবেদনশীলভাবে মনরেগা প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৮৬,০০০ কোটি টাকা। গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সরকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রুরাল ডেভেলপমেন্টের সমস্ত তহবিল বন্ধ করে দিচ্ছে এবং এর জন্য বাজেটে কোনো টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামীণ গরিবদের প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের উদাসীনতার প্রতিফলন এটি, জানিয়েছে কৃষকসভা।
এআইকেএস সারা দেশের ইউনিটগুলিকে বাজেটের অনুলিপি পোড়াতে এবং ৫ ফেব্রুয়ারি এসকেএম-জেপিসিটিইউ-এর প্রতিবাদকে ব্যাপকতর করার আহ্বান জানিয়েছে।
Comments :0