মণ্ডা মিঠাই | নতুনপাতা
বড়দিনের আলোকে বিজ্ঞানের বরপুত্র স্যার আইজ্যাক নিউটন
ঋষিরাজ দাশ
বিগত সংখ্যার পর
কিন্তু ১৭২৫ খ্রিস্টাব্দের পর নিউটনের স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে। ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শেষবারের মতো রয়েল সোসাইটির সভাপতি হিসেবে কার্য পরিচালনা করেন। ২৮শে ফেব্রুয়ারি তিনি রয়েল সোসাইটির সভার সভাপতিত্ব করার লন্ডনে যান । ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনিই এই সোসাইটির সভাপতি ছিলেন । ১৮ই মার্চ সন্ধ্যা ছটার দিকে তিনি প্রলাপগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এবং ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের ২০শে মার্চ ৮৫ বছর বয়সে তিনি ঘুমের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু নিউটনের মৃত্যু তারিখ “ওল্ড স্টাইল” জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০শে মার্চ ঠিক করা হলেও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নিউটনের মৃত্যু তারিখ ৩১শে মার্চ ১৭২৭। পরবর্তীকালে নিউটনকে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি-তে সমাধিস্থ করা হয়।
স্যার আইজ্যাক নিউটন। নামটা শুনলেই সবার মনে পড়ে যায় আরে ইনিই না তিনি, যিনি গতিসূত্রের কথা প্রথম বলেছিলেন। আরে ইনিই না তিনি, যিনি প্রথম মাধ্যাকর্ষণের কথা বলেন? হ্যাঁ ঠিক। নিউটনই সেই বিজ্ঞানী যিনি প্রথম এ দুটি ব্যাপার আবিষ্কার করেন। তিনি হলেন আমাদের পরম বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন। তাই তাঁর জন্মদিনে আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম। সবশেষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা ধার করে বলতে পারি যে -----
“নিউটনের চরিত্র সাধারণ লোকের চরিত্রের ন্যায় নহে। উহা এমন সুন্দর যে চরিতাখ্যায়ক ব্যক্তি লিখিত লিখিতে পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হন। এবং যে উপায়ে তিনি মনুষ্য মন্ডলী মধ্যে অবিসংবাদিত প্রাধান্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহা পর্য্যালোচনা করলে মহোপকার ও মহার্থ লাভ হইতে পারে। নিউটন অত্যুৎকৃষ্ট বুদ্ধিশক্তি সম্পন্ন ছিলেন; কিন্তু তদপেক্ষায় স্থানবুদ্ধিরাও তদীয় জীবনবৃত্ত পাঠে পদে পদে উপদেশ লাভ করিতে পারেন।
----ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
সপ্তম শ্রেণী
কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
মজুমদার ভিলা, কল্যাণ নগর, খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
সমাপ্ত
Comments :0