BOOK TOPIC — NATUNPATA / 15 NOVEMBER

বইকথা — বিজ্ঞানের রামধনু / প্রদোষকুমার বাগচী / নতুনপাতা

ছোটদের বিভাগ

BOOK TOPIC   NATUNPATA  15 NOVEMBER

নতুনপাতা

বইকথা

বিজ্ঞানের রামধনু

প্রদোষকুমার বাগচী

মনের মতো বিজ্ঞানের বই
এবার তোমাদের মনের মতো সেরা বিজ্ঞানের একটা বইয়ের কথা বলবো। বেশ কিছুদিন ধরে তোমরা উৎসবে মেতে আছো জানি। তবুও উৎসবের মাঝে একটু আধটু বইয়ের দিকে হাত বাড়ালে দোষ নেই। এবার তোমাদের একটা বিজ্ঞানের বইয়ের কথা জানাতে চাই। কারণ তোমাদের যা বয়স তাতে যদি তোমরা বিজ্ঞানের সত্য সম্বন্ধে বা বিজ্ঞানের প্রকৃত রহস্যের জাল উন্মোচনে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারো তবে দেশ থেকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। এটা যে একটা কত বড় কথা সেটা বোঝা যায় বাংলার বরেণ্য মনীষীদের দিকে তাকালে। তাঁরা সেই কত আগে থেকে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লিখে গেছেন শুধুমাত্র তোমাদের কথা ভেবে। কত ধরনের পত্রিকায় যে তাঁরা লিখেছেন ভাবলে অবাক বনে যেতে হয়। অবশ্য বাংলায় প্রথম বিজ্ঞানের বই লেখা হয়েছিল ১৮১৭ সালে। নাম ছিল ‘অঙ্কপুস্তকং’। লিখেছিলেন রবার্ট মে। সেই শুরু পরে দেশীয় মণীষীরাও ক্রমাগত লিখে গেছেন বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা। 
অক্ষয় কুমার দত্ত ছিলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনার অগ্রপথিক। এখন এই সব রচনা চট করে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু তোমাদের কথা ভেবে স্বনামধন্য এক গ্রন্থাগারিক, নাম তাঁর অসিতাভ দাশ,  সেই সব দুস্প্রাপ্য রচনাগুলিকে সংগ্রহ করেছেন নানা পত্রপত্রিকা ঘেঁটে। অপূর্ব এই সংকলনটিতে রয়েছে ১৮টি মনোমুগ্ধকর বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা। যা কেবল তোমাদের নয়, তোমাদের অভিভাবকদেরও ভালো লাগবে। 


তোমরা অনেকেই জানো হয়তো যে কে ছিলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন!কিন্তু এই বইতে তোমরা এমন একজন মানুষের লেখা পাবে যার নাম শুনলে কেবল অবাক হয়ে পড়বে তা নয়, চিত্তও প্রশান্ত হবে আর লেখকের প্রতি শ্রদ্ধায় তোমাদের মাথা নত হয়ে আসবে। কে লিখেছেন জানতে চাও তো! তাহলে বলছি শোন। নিউটন সম্পর্কে এই লেখাটি স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লিখে গিয়েছেন বহু দিন আগে। এবার সেই পুরানো লেখাটি তোমরা নতুন করে দেখবে। সাধু ভাষায় লেখা, তবু আমি নিশ্চিত তোমাদের সকলেরই ভালো লাগবে। বদ্ধ ঘরের জানলা খুলে দিলে যেমন সতেজ হওয়া এসে ঘরটিকে ভরিয়ে দিয়ে যায় তেমনি এই বইটির পাতা ওলটালেই একটা সতেজ ভাবনা তোমার মনের ভেতরে এমন নাড়া দিয়ে যাবে যাতে মনের অন্ধকার দূর হয়ে যায়। পরিপূর্ণ আনন্দে মেতে উঠে মন। 

 
কেমন মানুষ ছিলেন নিউটন, কি করে এত বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠলেন তিনি, সে কথা তোমরা আমার কাছ থেকে শোনার চেয়ে বরং সরাসরি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছ থেকে শুনে নিতে পারো। তাহলে তোমরা বইটি এবার কিনে নাও। বা একজন কিনে অনেককে পড়াও। বা কোনও গ্রন্থাগারে গিয়ে পড়ে নাও। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছাড়াও আরও অনেকের লেখা এখানে আছে, যেমন—ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, স্বর্ণকুমারী দেবী, জগদীশচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও আরও অনেকে। আছেন চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, রাজশেখর বসু। রয়েছেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা  প্রমুখ। প্রতিটি রচনার সঙ্গে রয়েছে মন ভালো করা ছবি। 
বিজ্ঞানের রামধনু
সম্পাদনা: ড. অসিতাভ দাশ। অঙ্কুশ প্রকাশনা, অশোকনগর। বিক্রয়কেন্দ্র— ৫৫বি পটুয়াটোলা লেন, কলকাতা—৭০০০০৯। ১২০ টাকা।

Comments :0

Login to leave a comment