Bagrakote Tea Workers

১১ দিনে বাগরাকোট বাগান শ্রমিকদের অনশন

জেলা

ভয়ঙ্কর অবস্থা বাগরাকোট চা বাগানের। মজুরি বেতনের দাবিতে বাগরাকোট চা বাগানে ১১ দিন ধরে চা বাগান শ্রমিকরা রিলে অনশনে বসেছেন। অনশনরত শ্রমিকদের পাশে ছিলেন পিআরসির চিকিড়সকরা। সিআইটিইউ‘র পক্ষ থেকে রিলে অনশনে যোগ দিয়েছিলেন পৃথা তা।  অংশ নিয়েছিলেন এসএফআই’র কর্মীরাও। তিনমাসের বেতন বন্ধ। মেলেনি বোনাসও। বাগ্রাকোট চা বাগানের শ্রমিকদের চরম সঙ্কট, ‘দান নয়, অধিকার চাই’ এই দাবিতে বাগ্রাকোট চা বাগানের শ্রমিকদের রিলে অনশন চলছে ১১ দিন ধরে। বৃহস্পতিবার অনশনমঞ্চে হাজির হলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকে অনশনমঞ্চে হাজির হন এলাকার তৃণমূল নেতা রাজেস ছেত্রী। বুধবার দাগাপুরে নিস্ফল আলোচনার পর তৃণমূল সমর্থিত চা শ্রমিকরা বাগানবাসীদের থেকে বিচ্ছন্ন হওয়ার আতঙ্কে অনশনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনমঞ্চে উপস্থিত হন। সিআইটিইউ নেতা পবন প্রধান বলেন, এই ঘটনা বৃহত্তর শ্রমিক ঐক্যের দিশা দেখাবে। 
১১ দিনে পড়লেও অনশনে ভাগ নিতে দিনে দিনে সংখা বাড়ছে। এসে নাম লিখিয়ে যাচ্ছে বাগান শ্রমিকরা। বাগানে এখনও প্রর্যন্ত ১ হাজার  ২৭৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিটি শ্রমিক পরিবারের থেকে অনশনে গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। শ্রমিক নেতা লরেন্টুস লাকড়া বুধবারের সভায় মালিকদের শ্রমিক বিরোধী ভুমিকার তীব্র নিন্দা করেন ও সেই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সকলেই সহমত দেন। সভায় উপস্থিত আইএনটিটিইউ নেতা রাজেশ ছেত্রী আন্দালনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাগ্রাকোট চা বাগানের পরিস্থিতি জানিয়ে তাঁর হস্তখ্যেপ চাওয়ার প্রস্তাব সভায় দেন। সভা সেটা বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকদের সাথে আছি’’। 
পবন প্রধান বলেন, বাগানে এখন গাছ পরিচর্যা ও পুনিং এর সময়। এখন শ্রমিকদের হাতে পয়সা নেই। অবিলম্বে বাগানে একশো দিনের কাজ চালু করার প্তস্তাব নিয়ে সোমবার মালবাজারের মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। সবলেই এই প্রস্তাবে রাজী হন। শ্রমিকরা নিজেদের স্বার্থে এই পুনিং এর কাজ করবেন।

Comments :0

Login to leave a comment