২৯ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর হবে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে শেষ হবে যাত্রা। হবে সমাবেশও। কেন্দ্রীয় মিছিলের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে চলবে মিছিল এবং কর্মসূচি। গত ৬ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র এই সূচি ঘোষণা করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার বাংলা বাঁচাও কর্মসূচির প্রচার হয় মালবাজারে। শহরের ঘড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বাঁচাও কর্মসূচি। সিপিআই(এম)মালবাজার এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এদিনের কর্মসূচি করা হয়। "আমরা বাংলাকে বাঁচাতে চাই!" স্লোগানকে সামনে রেখে এদিনের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সময়কালে এসআইআর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বাংলাকে বাঁচাতে, বাংলার স্কুল, বাংলার মাঠ, বাংলার চাষ, বাংলার ইন্ডাস্ট্রিকে, বাংলার যুব- ছাত্র- মহিলা, সমগ্র বাংলাকে বাঁচাতে হবে বলে বক্তারা তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের মাল্টি অর্গান ফেল করেছে। মাল্টি অর্গান ফেল করা রোগী কখনও বেশি দিন বাঁচে না। তাই বাংলাকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা রাস্তায় আছে, শহীদ হয়েছে, মার খেয়েছে, জেল খেটেছে, ঘর ছেড়েছে, মানুষের কাছে এই বার্তা তুলে ধরেন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব।
বাংলায় এসআইআর’র নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটারের অবলুপ্তি ঘটানো যেখানে মূল বিষয়বস্তু কিন্তু এসআইআর' কে কেন্দ্র করে যেভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এদিন পথসভা থেকে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সমগ্র বাংলা জুড়ে মিথ্যাচার, নারীদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তিমূলক বাতাবরণ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরা হয়। এদিনের বাংলা বাঁচাও কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিআই(এম) মাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজা দত্ত, দেবজিৎ গুহ চৌধুরী, সমীর ঘোষ, গীতা দেবনাথ, সোনা কামি দত্ত, সমীর সিংহ সহ অন্যান্যরা। বাংলা বাঁচাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা জুড়ে যে আন্দোলন সংঘটিত হতে চলেছে তার প্রচারও এদিনের পথসভা থেকে করা হয়।
Comments :0