অন্যান্য রাজ্যের সাংসদদের সংসদের অধিবেশনে উপস্থিতির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাংসদরা। স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংসদের রেকর্ড দেখাচ্ছে যে রাজ্যের কোনও সাংসদই উপস্থিতির নিরিখে প্রথম ৫০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি।
রাজ্যের সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি রয়েছে বিজেপির খগেন মুর্মু, যিনি মালদা উত্তর আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৫৯ নম্বরে থাকা তাঁর উপস্থিতির হার ৯৪.১ শতাংশ এবং পাঁচ বছরে তিনি ২৫৭টি হাউস সিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঁচ বছরে ৫০৫ জন সাংসদ মোট ৯২ হাজার ২৭১টি প্রশ্ন করেন।
উপস্থিতির হারের নিরিখে উল্লেখযোগ্যভাবে নিচের দিকে তৃণমূল সাংসদরা। অভিনেতা থেকে দেব, যিনি ঘাটালের সাংসদ, সমস্ত রাজ্য সাংসদদের মধ্যে সর্বনিম্ন উপস্থিতি- ১২ শতাংশ! তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির হার ১৪.৭ শতাংশ।
তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (২১ শতাংশ), বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান রুহি (৩৯ শতাংশ) এবং আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা (২২.৩ শতাংশ)। তৃণমূল নেত্রী তথা কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র ২১৮টি সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং ৭৯.৯ শতাংশ উপস্থিতির হার রয়েছে তার। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৮৭টি অধিবেশনে উপস্থিত থেকে ৬৮.৫ শতাংশ হার বজায় রখেছেন।
ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুমার হেমব্রম (৯০.৮ শতাংশ), দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা (৯০.৮ শতাংশ), মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (৮৩.২ শতাংশ), বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (৭৩.৩ শতাংশ) এবং কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৭৩.৩ শতাংশ)। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক মাত্র ৯২টি বৈঠকে উপস্থিত থেকে ৩৩.৭ শতাংশ হাজিরার হার।
এডিআর সদস্যরা আরও বলেছিলেন যে অনেক সাংসদ সংসদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও মাঝে মাঝে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে ভুলে যান।
Comments :0