অনিন্দ্য হাজরা ও শুভঙ্কর দাস
এখনও সাংস্কৃতিক শেষ হয়নি। কিন্ত তারমধ্যেই চারভাগের তিনভাগ মাঠ ভরে গিয়েছে জনতার স্রোতে। মঞ্চের সামনে তৈরি করা হয়েছে ভিআইপি গেট। কলকাতা পুলিশ চেষ্টা করছিল গোটা ভিড়টাকে ভিআইপি গেটের পাশ দিয়ে মাঠে ঢোকাতে। মঞ্চের সামনে এবং এক পাশে জমাট বাধছিল ভিড়। ফাঁকা থাকছিল মাঠের পিছন দিক, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছের অংশ।
ক্যাজুরিনা এভিনিউ বরাবর ব্যারিকেড দিয়ে বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না বাইক মিছিলগুলিকে। কিন্তু বেলা ১টার কিছু পর থেকে পরিস্থিতি ঘুরতে শুরু করে। কার্যত ব্যারিকেড ভেঙে ব্রিগেডের দখল নিতে শুরু করে জনতা। শুরুতে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান বামপন্থীদের কর্মীরা। মৃদু ধাক্কাধাক্কিও হয়। কিন্তু ক্রমে ভিড়ের চাপ বাড়তে শুরু করায় পুলিশ রণে ভঙ্গ দেয়। ক্যাজুরিনা এভিনিউয়ের জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড মুক্তি হয়।
বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ মঞ্চ থেকে মীনাক্ষী মুখার্জি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘কলকাতার পাঁচটা মিছিল মাঠে যাতে ঢুকতে পারে, তার জন্য জওহরলাল নেহরু রোড বরাবর ব্যারিকেড খুলে দিন। ওই ৫টা মিছিল আটকানোর চেষ্টা হলে অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে কলকাতা।’’
শহীদ পরিবারগুলিকে সম্মান জানিয়ে সমাবেশের কাজ শুরু হয়েছে। সভাপতিত্ব করছেন ধ্রুবজ্যোতি সাহা।
Comments :0