MSP ACT CONGRESS

ফসলের দামে আইন হবে, ১৬ ফেব্রুয়ারির মুখে ঘোষণা কংগ্রেসের

জাতীয়

সারা ভারত কৃষকসভার পোস্টার।

গ্রামীণ ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। শতাধিক সংগঠনের এই মঞ্চ জানিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিক্ষোভে শামিল হবেন কৃষক খেতমজুররা। আন্দোলনে রয়েছেন শ্রমিকরাও। শিল্প ও বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মচারীরাও একইদিনে শামিল হচ্ছেন বিক্ষোভে।
আন্দোলনের এই তুঙ্গ মুহূর্তেই মঙ্গলবার কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে সরকার গড়লে পাশ করানো হবে ফসলের ন্যূনতম দামের আইন। দলের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দু’জনেই এই মর্মে ঘোষণা করেছেন।
সারা ভারত কৃষকসভা জানিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি স্তব্ধ হবে গ্রাম ভারত। গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে শিল্পাঞ্চলেও।
এদিনই হরিয়ানা পাঞ্জাব সীমান্তে আম্বালার কাছে দিল্লিমুখী কৃষকদের সঙ্গে গুরুতর সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশ টিয়ার গ্যাস থেকে ড্রোন ওড়ানো কিছুই বাকি রাখেনি। এই সংগঠনগুলি সংযুক্ত কিসান মোর্চার সঙ্গে সরাসরি নেই আপাতত। তবে মোর্চার অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত বেঙ্গালুরু থেকে জানিয়েছেন যে দাবির প্রতি সংহতি রয়েছে।
সরকারি স্তর থেকে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইন নিয়ে কমিটির কথা বলা হলেও কৃষক নেতারা কোনও প্রতিনিধি পাঠাননি। টিকায়েত বলেছেন, ২০২১’র জানুয়ারির পর থেকে সরকার কার্যত কোনও যোগাযোগ করেনি। 
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বছরভর আন্দোলন চলেছিল দিল্লিতে। ২০২০’তে শুরু হয় ওই আন্দোলন। ২০২১’র নভেম্বরে কৃষি আইন বাতিল করতে হয় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সেই সঙ্গে ফসলের সরকার ঘোষিত দামেই যাতে কৃষকের থেকে ফসল কেনা হয় তার আইন আনার কথা ছিল। কৃষকদের দাবি এখন ন্যনতম সহায়ক মূল্য কেবল ২৩টি ফসলে ঘোষণা করা হয়। সব ফসলই এর আওতায় আনতে হবে। 
পশ্চিমবঙ্গে ১৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা থাকায় বিক্ষোভ, জেল ভরো হয়েছে মঙ্গলবার।   রেগার বকেয়া মজুরি, ফসলের দাম, যুবকদের কাজের মতো দাবিতে রাস্তায় নামলেন শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা। জেলায় জেলায় জেলশাসকদের দপ্তর অভিযান এবং আইন অমান্য হয়েছে। বহরমপুরে আইন অমান্যে অংশ নেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বেকারদের কাজ, শ্রমকোড ও স্মার্ট মিটার সহ বিদ্যুৎ বিল বাতিল, কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম, রেগার বকেয়া মজুরি পরিশোধ, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ, দেশের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সহ জীবন জীবিকা রক্ষার দাবিতে ও সমস্ত রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে জেলা শাসকের দপ্তর অভিযান ও আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল কৃষক শ্রমিক খেতমজুরদের একগুচ্ছ সংগঠন।
এদিন বিভিন্ন জায়গায় মিছিলে দাবি উঠেছে খেতমজুর আন্দোলনের নেতা এবং সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মুক্তিরও। পশ্চিম মেদিনীপুরে মিছিলের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। কিন্তু মিছিলকে দমিয়ে রাখা যায়নি। 
আইন অমান্য এবং মিছিল হয়েছে উলুবেড়িয়া, আসানসোল, মালদহের মতো একের পর এক এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment