প্রবীর দাস
সুন্দরবনের উপর তান্ডব চালাতে পারে রেমাল। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মৎস্যজীবিদের গভীর সমুদ্র থেকে দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে। বসিরহাটে ইছামতি নদীর পাড়ে রয়েছে এনডি আরএফ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ, শুকনো খাবার, পানীয়জল। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।
ধেয়ে আসছে রেমাল। রবিবার গভীর রাতে সুন্দরবন ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলের মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় অসীম শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড় আসার আগে তার প্রভাব শুরু। রবিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
রেমালের জেরে ছোটকলাগাছি নদী যেন সাগরে পরিণত হয়েছে। একের পর এক ঢেউ। অচেনা এ ছবির আতঙ্কে সন্দেশখালি। হিঙ্গলগঞ্জের নেবুখালিতে ভেসেল পরাষেবা চলছে ধীর গতিতে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া শুরু হয়েছে। ফলে ইছামতী নদীর জল বাড়ছে। প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিপর্যয় মোকাবিলার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূলদুলি ঘাটে ভেসেল পৌঁছাতে সময় লাগছে কারণ ইছামতিতে ঢেউ বাড়ছে। স্থানীয়রা জানায় ভোরে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল আটটার পর থেকে ইছামতি নদীর ঢেউ বাড়তে শুরু করেছে। ভেসেলের কর্মীরা জানায়,প্রবল ঢেউ থাকার জন্য ভেসেল পরিষেবা দিতে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা। ভেসেলে গাড়ি পাড়াপাড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরিবহণ শ্রমিকদের কথা দু-তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
২০২০ সালের আম্ফান ও ২০২১ সালের ইয়াস বিধ্বংসী রূপ নিয়ে আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে সমগ্র সুন্দরবন সহ এরাজ্যে। সুন্দরবন বাসীদের অভিযোগ, ইয়াসের পর এক কোদাল মাটিও পড়েনি বাঁধে। ফের রেমাল আসার খবরে সেই আতঙ্ক আবারও আতঙ্ক গ্রাস করেছে সুন্দরবনবাসীদের।
Comments :0