প্রতিবাদী যুবনেতা চিরঞ্জিত রায়ের জামিন হয়েছে। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে জামিন হয়েছে ডিওয়াইএফআই’র এই নেতার। আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানানোয় ১৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বেহালার বাড়ি থেকে রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।
যুবনেতার মুক্তিতে ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা কমিটি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছে, ‘মিথ্যা মামলার জাল ছিঁড়ে অবশেষে মুক্তি পেলেন চিরঞ্জিত রায়‘।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হওয়ায় বন্দি ছিলেন বেহালার যুবনেতা। ডিওয়াইএফআই নেতা চিরঞ্জিত রায়কে এক মাসের বেশি সময় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলবন্দি করে রাখে মমতা ব্যানার্জির দলদাস পুলিশ। ডিওয়াইএফআই নেতার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে দিকে দিকে ছাত্র যুব মহিলা আন্দোলনের এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ সোচ্চার হন।
গত আগস্টের ১৪ তারিখ তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। আর জি কর হাসপাতালের সামনেও এই দাবিতে জড়ো হয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ওই রাতেই আর জি কর হাসপাতালে হামলা চালায় তৃণমুলের দুষ্কৃতী বাহিনী। সঠিক তদন্তে না গিয়ে আন্দোলনে যুক্ত প্রতিবাদীদের ফাঁসানোর লক্ষ্যবস্তু করে কলকাতা পুলিশ। ডিওয়াইএফআই বলেছে, এই অভিসন্ধির শিকার করা হয়েছে চিরঞ্জিতকেও।
বেহালার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডীতলার বাসিন্দা ডিওয়াইএফআই ’র আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি চিরঞ্জিত রায়। গত ১৭ আগস্ট গভীর রাতে লালবাজার থেকে পুলিশ আচমকাই হানা দেয় তাঁর বাড়িতে। কোনও আ্যরেস্ট মেমো ছাড়াই তাঁকে বাড়ি থেকে লালবাজারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর তাঁকে লালবাজারে আটক করে রাখার পর, পরের দিন, অর্থাৎ ১৮ আগস্ট তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। উল্টোডাঙা থানার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যুব নেতার দু’দফায় ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজত হয়।
Comments :0