এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে সহজেই ৯উইকেটে হারিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে। সেই ম্যাচে মোট ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন শিবম দুবে । তবে ২০২৩ সাল থেকে এই আইপিএলে এই ইম্প্যাক্ট রুল আসার পর থেকে ম্যাচের মাঝেই বিভিন্ন দলগুলি ব্যাটার অথবা বোলারকেই সুযোগ দেন। এর ফলে ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন অল রাউন্ডার খেলোয়াড়রা। আইপিএলে প্রত্যেক ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি দলই এই ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় খেলানোর নিয়মের সাহায্য নিয়ে থাকেন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের অর্থ হল যে কোনো দলই আইপিএলে ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে নামাতে পারে। তবে এই বিশেষ নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে কি ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন অলরাউন্ডাররা? নাকি বিনোদনের স্বার্থেই আনা হয়েছে এই নিয়ম?
তযে হার্দিক পাণ্ড্য , অক্ষর প্যাটেলদের মতো অলরাউন্ডারদের উপর এই ইম্প্যাক্ট রুলের নিয়মে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। অনেক ম্যাচেই তারা ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দ্বারা নিজেদের প্রভাব রেখেছেন ম্যাচে। শিবম দুবে ভারতের একজন প্রতিভাবান অল রাউন্ডার। তবে এই বছরের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাত্র ৫ওভার তাকে দেখা গেছে বল হাতে। কারণ ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সকল দলই ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে কোনো বিশেষ বোলার বা ব্যাটারদেরই নামায়। তবে শুধু শিবম দুবেই নয়। বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম দুইজন হলেন নীতিশ কুমার রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের এই দুই অলরাউন্ডার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে ভারতের জন্য। তবে এই দুই অলরাউন্ডারও ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় খেলানোর নিয়মে। এই বিষয়ে প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবং বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার টিটোয়েন্টি প্রতিযোগিতার কমিশনার গ্রেম স্মিথ তাদের প্রতিযোগিতায় কোনো ইম্প্যাক্ট রুলের নিয়ম রাখেননি। নিজেদের দেশ থেকে যতটা সম্ভব অলরাউন্ডার খেলোয়াড় বেশি করে তুলে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। জ্যাক কালিস , লেন্স ক্রুসেনের মতো অলরাউন্ডারদের বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা এনে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বর্তমানেও এইডেন মার্করাম , মার্কো ইয়ানসেন , কেশব মহারাজের মতো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডাররা রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে । এই বিষয়ে ভারতের প্রাক্তন টিটোয়েন্টি অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন ' ক্রিকেট ১১জনের খেলা । ১২জনের নয়। শুধুমাত্র নিজেদের বিনোদনের স্বার্থে খেলার মধ্যে থেকে বেশ কিছু জিনিষকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে '। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় খেলানোর নিয়মের প্রসঙ্গে এই কথা রোহিত জানিয়েছিলেন গত বছর । ২০২৩সালে আইপিএলে এই নিয়ম আসার আগের মরশুমে ২০২২সালের আইপিএলে মোট ১৩জন অলরাউন্ডার ১০০টি বল করেছিলেন। তারসঙ্গে সঙ্গে তারা ১০০-র উপর রানও করেছিলেন। তবে ২০২৫সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৮জন অলরাউন্ডারে। তবে প্রত্যেক বছরের মতোই এই বছরের আইপিএলেও কেকেআরের দুই নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলকে প্রভাবিত করতে পারেনি এই ইমপ্যাক্ট রুল। স্বমহিমাতেই তারা বল এবং ব্যাট হাতে নিজেদের প্রভাব রেখেছেন আইপিএলে। একটি ক্রিকেট ম্যাচ জেতাতে সবথেকে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন অলরাউন্ডাররাই । তবে বিনোদনের স্বার্থে এই ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রুল নিয়মটির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অলরাউন্ডারদের ভবিষ্যৎ ?
মন্তব্যসমূহ :0