কোনও কাগজপত্র না দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে এনেছে পুলিশ। তবে সন্দেশখালির আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।
সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদককে জোর করে তুলে আনা হয়েছে। বাঁশদ্রোণী থানার সামনে দাঁড়িয়েই ‘গণশক্তি’-কে একথা জানালেন নিরাপদ সর্দারের স্ত্রী এবং আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী দীপা সর্দার। তাঁর বক্তব্য তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
দীপা সর্দার বলেন, ‘‘জবরদস্তি করে থানায় নিয়ে এল পুলিশ। সকাল দশটায় বাঁশদ্রোণী থানা থেকে দশ থেকে বারোজন পুলিশ বাড়িতে পৌঁছায়। বলে, থানায় যেতে হবে। উনি (নিরাপদ সর্দার) বাড়িতেই ছিলেন। বসিরহাটে কর্মসূচি ছিল নিরাপদ সর্দারের। পুলিশ বলল, আমাদের সঙ্গে যেতে হবে।
আমরা জানতে চাইলাম কী ডকুমেন্টস আছে বলুন। আমাদের তো জানতে হবে। পুলিশ বলল, আমাদের কাছে কোনও ডকুমেন্টস নেই। থানায় যেতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘তা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হতে থাকে। তবু পুলিশ জবরদস্তি করে নিয়ে এল থানায়। থানায় ওসি বললেন আমাদের ওপর এমন নির্দেশ আছে। সেজন্য নিয়ে এসেছে। সন্দেশখালি এবং বসিরহাট থানা থেকে লোকজন আসবে। ওরা জিজ্ঞেসাবাদ করবে। আমাদের কিছু করার নেই। যা করার সন্দেশখালি থানা করবে।’’
দীপা সর্দার জানান, ‘‘অনেকক্ষণ আমাদের বসিয়ে রাখল। তারপর সন্দেশখালি থেকে প্রশাসনের লোক এল।
আন্দোলন জারি থাকবে। সন্দেশখালির শেখ শাহাজাহান এবং শিবু হাজরাদের অত্যাচারের জবার চাই। উত্তম সর্দারকে তৃণমূল সাসপেন্ড করার পর অ্যারেস্ট করেছে। যারা এত সন্ত্রাস করল সন্দেশখালিতে তারা আজ বহাল তবিয়তে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ধরার জন্য পুলিশের তৎপরতা কোনোদিনের জন্য লক্ষ্য করিনি। আজ পুলিশের তৎপরতা দেখে তো খুব অবাক লাগছে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কোথায় আছি।’’
Comments :0