কাজের অস্বাভাবিক চাপে বিএলও-দের আত্মহত্যার খবর আসছে সারা দেশ থেকে। সে সময়েই নির্বাচন কমিশন পোস্ট করেছে আনন্দে নৃত্যরত বিএলও-দের ছবি। কেরালায় নির্বাচন কমিশনের সিইও’র এই পোস্ট ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ল নির্বাচন কমিশন।
প্রথম দফায় বিহারে, দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর’র কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অতি দ্রুত প্রক্রিয়া সারতে গিয়ে চাপে পড়ছেন বিএলও-রা।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে কেরালা, তামিলনাডুর মতো রাজ্য। সোমবার তার শুনানিও হয়েছে।
বিএলও-দের অস্বাভাবিক চাপের খবর লাগাতার অস্বীকার করেছে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সিইও দপ্তর। দেখানো হয়েছে সময়ের আগে বিএলও-রা কাজ শেষ করেছেন তাঁদের ছবি।
অভিযোগ, নিজেদের অপরিকল্পনার দায় স্বীকারের বদলে বিএলও-দের ঘাড়ে দোষ চাপাতে এমন প্রচারে নেমেছে কমিশন। কেরালায় সিইও দপ্তরে কয়েকজন বিএলও-র নাচের ছবি পোস্ট করে দিয়েছে। লেখা হয়েছে ‘কাজের মাঝে, খানিক ফূর্তি’।
এরপরই সোশাল মিডিয়ায় বহু জনই লিখছেন যে কতটা অসংবেদনশীল হলে এমন ভিডিও প্রকাশ করা সম্ভব!
এসআইআর-র চলতি দফায় খসড়া তালিকা প্রকাশের সময়সীমা সাত দিন বাড়াতে হয়েছে কমিশনকে। এদিন কলকাতায় সিইও দপ্তরে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী বলেছেন যে গোড়া থেকেই বলা হয়েছিল এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। জোর করে এগিয়েছে কমিশন। মাশুল দিতে হয়েছে জনগণকে, বিএলও-দের। তাঁদের মৃত্যুর দায় কমিশনকেই নিতে হবে।
সোমবারও উত্তর প্রদেশে এক বিএলও-র মৃত্যুর খবর এসেছে। এদিন সংসদের সামনে কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেছেন দেশে অন্তত ২০ বিএলও কেবল আত্মঘাতী। অসুস্থ হয়েছেন আরও বহু। কমিশন দায় নিতে নারাজ।
কমিশন এদিনও সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে দাবি করেছে যে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু বা মতুয়াদের নাম জনসংখ্যার অনুপাতের থেকে বেশি বাদ পড়ছে, এমন তথ্য নেই।
Dancing BLOs
বিএলও-রা নাকি ফূর্তিতে নাচছেন! ভিডিও দিয়ে সমালোচনার মুখে কমিশন
×
Comments :0