সি-ভোটারের এক্সিট পোলে জম্মু ও কাশ্মীরে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যেখানে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট ৯৫ সদস্যের বিধানসভায় ৪০ থেকে ৪৮টি আসন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নব্বই জন বিধায়ক নির্বাচিত হন, এবং পাঁচজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর দ্বারা মনোনীত হন।
৪৭টি আসনের জম্মুতে বিজেপির সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ থাকবে বলে পূর্বাভাস, কারণ ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা কোনও আসন সুরক্ষিত করতে পারেনি, যদিও শেষ পর্যন্ত এবার তারা তার খাতা খুলতে পারে। এদিকে, সি-ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোট ৪৩টি আসনের মধ্যে ২৭-৩১টি আসন পেয়ে জম্মুতে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি ধরে রাখতে পারে বিজেপি।
এই সংখ্যা ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের জন্য সুখবর বয়ে আনলেও বিজেপির কাছে হতাশাজনক। গত পাঁচ বছরে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলকে ‘নয়া কাশ্মীরে’ রূপান্তরিত করার বাগাড়ম্বর করলেও তা যে অন্তঃসারশূণ্য এই বুথ ফেরত সমীক্ষায় তা প্রমানিত। এর প্রথম লক্ষণগুলি লোকসভা নির্বাচনের সময় স্পষ্ট হয়েছিল যখন বিজেপি উপত্যকার তিনটি সংসদীয় কেন্দ্রের কোনওটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি।
২০১৯ সালের আগস্টে যখন কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় এবং রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে, তখন এই অঞ্চলটি বেশ কয়েক মাসের জন্য নজিরবিহীন বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে নরেন্দ্র মোদী সরকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘নয়া কাশ্মীর’-এর ঘোষণা দেয়। তবে খুব কমই কাজ করা হয়েছিল।
কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর বিজেপি এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত কিন্তু বেকার যুবকদের টার্গেট করে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে, এই বিষয়গুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির অভাব জনগণের মধ্যে হতাশা এবং বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে।
J-K Polls
ভূঃস্বর্গেও ‘বেকায়দায়’ বিজেপি: সমীক্ষা
×
Comments :0