জানা অজানা
নতুনপাতা
হেমেন্দ্রমোহন বসু ও কুন্তলীন পুরস্কার
তপন কুমার বৈরাগ্য
হেমেন্দ্রমোহন বসুর নামের সাথে আমরা অনেকেই
পরিচিত। কলকাতা শহরে ভারতীয় রঙিন আলোকচিত্র
গ্রহণের পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম
হয়।তিনিই প্রথম বাংলায় কলের গান,মোটরগাড়ি, সাইকেল
ও টর্চলাইট তৈরির কারখানা নির্মাণ করেন। এ ছাড়া
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর পরামর্শে কুন্তলীন কেশ তেল তৈরির
কারখানা নির্মাণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন তাঁর
প্রিয় বন্ধু।এই কুন্তলীন কেশ তৈরির কারখানার জন্য
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
তিনি সাহিত্যেরও ছিলেন একজন পৃষ্ঠপোষক। ভারতীয়
সাহিত্যের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে
তিনি কুন্তলীন পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই পুরস্কারের
মূল্য ছিল ১০০টাকা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মন্দির গল্পের
জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন পুরস্কার পান।আচার্য জগদীশ
চন্দ্র বসুও নিরুদ্দেশের কাহিনি লিখে কুন্তলীন পুরস্কার পান।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যারা যারা কুন্তলীন পুরস্কার পান
তাঁরা হলেন--মানকুমারী বসু, যোগীন্দ্রনাথ সরকার,প্রভাত
কুমার মুখোপাধ্যায়,অনুরূপা দেবী।
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে আগস্ট হেমেন্দ্রমোহনের জীবনাবসান
ঘটে।১৯৩০ সাল পর্যন্ত এই কুন্তলীন পুরস্কার দেওয়া হয়।
পরবর্তী ক্ষেত্রে এই পুরস্কারের কথা মনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ
সরকার ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার এবং ১৯৫৪
খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতের সাহিত্য সম্মাননা আকাদেমি চালু
করা হয়। কিন্তু কুন্তলীন পুরস্কারের স্রষ্টা হিসাবে হেমেন্দ্রমোহন
বসুর নাম সবার অন্তরে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Comments :0