কসবার ডিআই অফিসে চাকরি হারাদের লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআইকে দায়িত্ব থেকে সরালো কলকাতা পুলিশ। রিটন দাস নাম কসবা থানার ওই এসআই কসবার ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশি আক্রমণের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কসবার ঘটনার তদন্ত করবেন আর এক এসআই সঞ্জয় সিংহ। পুলিশের লাথি মারার ঘটনা নিয়ে সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে, চাপের মুখে কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবার ২০১৬ এসএসসি'র চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষা কর্মীরা রাজ্যের সমস্ত ডিআই অফিসের বাইরে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে। কলকাতার কসবায় ডিআই অফিসের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালিন পুলিশ অতর্কিত ভাবে লাঠি চার্জ করে। লাথি মারা হয় শিক্ষকদের। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এসআই রিটন দাস এক শিক্ষককে পেটে লাথি মারছেন। সেই ঘটনার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। উল্লেখ্য ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পায় শিক্ষকের পেটে লাথি মারা ওই এসআইকে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনাকে ‘অবাঞ্ছিত’ বলেছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপান তিনি। মুখ্যসচিব বলেছিলেন, ‘‘আইন মেনে চলতে হবে। কোনও নাগরিক আইন নিজের হাতে নিতে পারেন না।’’
চাকরি হারা শিক্ষকের পেটে লাথি মারার ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘‘গোটা বিষয়ের ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কেন পুলিশকে এই কাজ করতে বাধ্য হলো তাও দেখা হচ্ছে। তবে লাথি মারার ঘটনা কাম্য নয়। গোটা বিষয়ের রিপোর্ট ডিসিপি-রা দেবেন।’’
Comments :0