Ganganagar

দুর্ভোগ বাড়বে গঙ্গাসাগর মেলায় আগত যাত্রীদের আশঙ্কায় সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা

রাজ্য

অনিল কুন্ডু- আলিপুর

প্রশাসনের অদূরদর্শিতায় এবারো দুর্ভোগ বাড়বে যাত্রীদের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, গঙ্গাসাগর মেলার সময় নদী পারাপারে এবার যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। মেলা শুরুর আগেই যাত্রীদের আনাগোণা শুরু হয়েছে। নদী পারাপারে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। প্রতিদিনই নদীতে ভাটায় ছয় থেকে সাত ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকছে। দুর্ভোগে পড়ছেন সাগরদ্বীপে আসা যাত্রীরা। কাকদ্বীপের লট এইট থেকে কচুবেডিয়া মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমায় নাব্যতা কমে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকছে। প্রায় একই পরিস্থিতি নামখানা থেকে বেণুবন লঞ্চ চলাচলের পরিষেবাও। ভাটায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা শুক্রবার এবিষয়ে ‌আশ্বস্ত করে বলেছেন, ২টো ড্রেজার কাজ করছে। আরো ১টা বড় ড্রেজার নিয়ে আসা হয়েছে। অসুবিধা হলে কাজ করবে। 
মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং করা হয়। সরকারের কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। তা সত্বেও দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাগরদ্বীপের বাসিন্দা থেকে গঙ্গাসাগরে আসা যাত্রীদের। এবার এই দুর্ভোগ আরো বাড়বে। এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কচুবেড়িয়ার কাছে বেশ কয়েক বছর আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বাংলাদেশি জাহাজ ডুবেছিল। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটিকে কেন্দ্র করে পলি জমে নদীতে নতুন চর জেগে উঠেছে। ওই চরের পলি কেটে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও অদূরদর্শিতার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। তাঁদের কথায়, প্রশাসন জানা সত্বেও আগে থেকে কেন এই পলি কাটার ব্যবস্থা করেনি। মাঝে আর কয়েকটা দিন। এর মধ্যে পলি তোলার কাজ সম্পূর্ণ না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বেই। 
এদিন গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, আসন্ন গঙ্গাসাগর শুরু হবে ৮ জানুয়ারি থেকে। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। সাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের সমাগম হবে এথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার যাত্রীদের স্বার্থে সমস্ত রকম পরিষেবার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এবার বাফার জোন গুলিতেও পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান, গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর জেলা প্রশাসন। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কুয়াশার কারণে যাতে নদীতে ভেসেল চলাচল পরিষেবা বন্ধ না থাকে তার জন্য এবার ফগ লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন ভাটায় ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগের প্রশ্নে জেলা শাসক আশ্বস্ত করে বলেছেন, ড্রেজিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। 
সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রী বলেন, এবারে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাত্রীদের সংখ্যা আরো বাড়বে। উন্নত মানের ড্রেজার আনা হয়েছে। কাজ চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment