Dhupguri

কে কোন ফুলে, দিশাহারা মানুষের ভরসায় সেই লাল ঝান্ডাই

রাজ্য

ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ‘কেমনে বর্ণিব’ মিতালির ভূমিকা তা নিয়ে দোলাচলে এলোমেলো ছন্নছাড়া হয়ে গেল ধূপগুড়ির তৃণমূল এবং বিজেপি’র কর্মীদের প্রচার। নেতানেত্রীরা যে দ্রুততায় দল বদল করছেন, তাতে তাঁরা কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। রবিবার সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে রোড শো করতে এলেও তাতে লোক জড়ো হয়নি। আর বিজেপি’র শহর মণ্ডল কমিটি এদিন তাদের শেষবেলার প্রচার কর্মসূচিই বন্ধ করে দিয়েছে। 
অন্যদিকে জ্বলে উঠেছে লাল ঝান্ডা। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষদিনে লাল ঝড় তুলে মিছিল পদযাত্রায় তাঁরা সোচ্চারে বলেছেন, বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে বামফ্রন্টের ফারাক নীতিতেই। কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে জয়ী করে ধূপগুড়ির মানুষ নীতিহীনদের উপযুক্ত জবাব দেবে। বামফ্রন্টের প্রচার মিছিলে সাধারণ মানুষও এগিয়ে এসেছেন। তাঁরাও বলেছেন, যা দেখছি তাতে তৃণমূল আর বিজেপি দু’টোই একাকার লাগছে। ভরসা করতে হবে লাল ঝান্ডাকেই। 
ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে নেমেছিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেস সমর্থন করেছে বামফ্রন্ট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এইদিন চলেছে মিছিল, সভা, বাড়ি বাড়ি প্রচার। রবিবার প্রচারের শেষদিনের বিকালে সিপিআই(এম) কর্মীরা ঢাক বাজিয়ে বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলের গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন। শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে মিছিল পার্টি অফিসের সামনে শেষ হয়। চলার পথের দুই ধারে অসংখ্য  মানুষ  দাঁড়িয়ে থেকে অভিনন্দন জানান। মিছিলের সামনে প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছিলেন পার্টির  কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার, জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, সায়নদীপ মিত্র, ডিওয়াইএফ আই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায় সহ নেতৃবৃন্দ। রবিবার সকালেই পার্টি কর্মী ও নেতৃত্বকে নিয়ে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বেরিয়ে পরেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। সকালে গাদং ক্লাব মোড়ে এক জনসভায় ভাষণ দেন মীনাক্ষী মুখার্জি। সভা করে স্থানীয় দোকানদার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিকালে শেষ জনসভা হয় ঝার আলতা ১ গ্রামপঞ্চায়েতের চৌহদ্দি গ্রামে। এখানে  বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র, ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী সোনালি মজুমদার সহ নেতৃবৃন্দ। সাকোয়াঝোরা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের সোনাখালি এলাকায় পার্টির জেলা কমিটির সদস্য মুকুলেশ রায় সরকারের নেতৃত্বে  প্রচার চলে। পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর  সদস্য পীযূষ মিশ্র, আশিষ সরকার বারঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় দশ দিন ধরে বাস করে প্রচার শেষ করে এদিনই ফিরে আসেন। কৃষকসভার জেলা সভাপতি প্রাণগোপাল ভাওয়াল গাদং ১ এবং ২ এলাকায়  প্রচারে যুক্ত ছিলেন। তিনটি এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজকুমার রায়, মনমোহন রায় ও জয়ন্ত মজুমদার নিজ নিজ এলাকায় প্রচারের নেতৃত্ব দেন। জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য ও পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল আলম এবং জীবেশ সরকার নিয়মিত প্রচারে যুক্ত ছিলেন, পার্টির কোচবিহার জেলার সম্পাদক  অনন্ত রায়ও বিভিন্ন সভায় যোগ দেন। এই উপনির্বাচনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক ঝাঁক ছাত্র-যুব-শিক্ষক-মহিলা নেতৃবৃন্দ  প্রতিদিন গ্রামে ছড়িয়ে থেকে প্রচার করেছেন। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার ছাত্র-যুব নেতৃত্বও যুক্ত হয়েছিলেন।  
 

Comments :0

Login to leave a comment