পুজোর মুখে রান্নার গ্যাস অমিল ইসলামপুরে। বুক করার পরে ১৫ দিন পার হলেও মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে গ্রাহকদের অসন্তোষ ছড়িয়েছে। গ্যাস ডিলার সন্তোষ বসু গ্রাহকদের এই ভোগান্তির জন্য পর্যাপ্ত সিলিন্ডার সরবরাহ না হওয়াকে দায়ী করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সিকিম ও উত্তরবঙ্গের ডিভিসনাল হেড রাজীব রঞ্জন জানান, চাহিদা অনুসারে গ্যাসের সরবরাহ কম। ইসলামপুরে গ্যাসের কালোবাজারি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। গ্রাহকদের বারবার অনলাইনে গ্যাস বুকিং করার পরামর্শ দেওয়া হলেও গ্রাহকদের একাংশ ডিলারদের অফিসে ভিড় করছেন। কালোবাজারি রুখতে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। রেহাই পাবেন না কেউ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মাস ধরে ইসলামপুরে রান্নার গ্যাস নিয়ে হয়রান হচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রায় প্রতিদিন শহরের জেলখানা মোড়ে গ্যাসের দোকানের সামনে লম্বা লাইন হচ্ছে। ফলে শহরের প্রধান দু’টি রাস্তা কার্যত রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। লাইনে দাঁড়ানো গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের লালবাজার গ্রামের তরণী সিংহ জানান, '১৫ দিন হলো গ্যাস বুক করেছি। দশ দিন পরে মেসেজ এসেছে বুকিং বাতিল করা হলো। নতুন বুকিং-এর পরে সিলিন্ডার ডেলিভারি করতে লাগবে আরও ৭ দিন। অনলাইনে বুকিং করলেও হয়রানি কমছে না এতটুকুও। গ্রাহকদের অন্ধকারে রেখে খোলা বাজারে গ্যাস ছাড়ছেন সরবরাহকারীরা।’ তাঁর দাবি, সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। না তাড়ালে মিটবে না সমস্যা। অলিগঞ্জের বাসিন্দা ইদ্রিস আলম বলেন, ‘লাইনে দাঁড়িয়ে দু'দিন কেটে গেলেও লাভ হয়নি। ২২ সেপ্টেম্বর গ্যাস বুক করেছিলাম। ১৪ দিন কেটে গেছে। সিলিন্ডার পাইনি।’ মাটিকুণ্ডা বাজারের দিনমজুর আব্দুর রহমান বলেন, বিনে পয়সায় সিলিন্ডার পাওয়া গিয়েছিল। এখন দিনের পর দিন ঘুরেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে তিনদিনের কাজ ‘কামাই’ করতে হয়েছে গ্যাস পাওয়ার জন্য।
ডিলারের বক্তব্য, গত কয়েক মাস ধরে প্রয়োজনের তুলনায় সিলিন্ডারের সরবরাহ না হওয়ায় পুজোর মুখে সঙ্কট বেড়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এদিকে রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটর বলেন, গ্যাসের কালোবাজারির সাথে তাঁদের যোগাযোগ নেই। আসলে ৫-৬ মাস ধরেই চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ কম। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
Comments :0