India vs England

তৃতীয় দিনের শুরু অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভারতের কাছে

খেলা

সিরিজ এখন ১-১। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ম্যাচ দাঁড়িপাল্লায় সমান সমান। ভারতের প্রায় সাড়ে চারশো রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাজবল শুরু করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের পাঁচ বোলারই রান দিয়েছেন এদিন।  রাজকোটে ভারতের বোলার দের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর বোলিংয়ে কোনও বৈচিত্র পাওয়া যায়নি। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি। রান দিয়েছেন কুলদীপ যাদবও। তিনি ৬ ওভারে ৪২ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি। ৭ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। জশপ্রীত বুমরা এবং রবীন্দ্র জাদেজা কোনও উইকেট পাননি।
তৃতীয় দিন অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ হতে চলেছে ভারতের জন্য। উইকেটে টিকে থাকা শতরানকারী বেন ডাকেট ও অপর প্রান্তে থাকা জো রুটকে প্রথম সেশনে না ফেরালে সমস্যা বাড়বে রোহিত শর্মাদের। তারপরও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টোর মতো ব্যাটাররাও আছেন। তবে পিচে ফাটল আছে। সেই সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারেন ভারতের বোলাররা সেটাই দেখার। এদিকে তৃতীয় টেস্টের বিজয়ীরা অনেকটাই এগিয়ে যাবে সিরিজের নিরিখেও। সেই প্রস্তুতি নিয়েছেন স্টোকসরাও। 
তবে এদিন, ইংল্যান্ড তাদের ইনিংস শুরুর আগেই পাঁচ রান যুক্ত হয় তাদের স্কোর বোর্ডে। ৫০০ উইকেটের মালিক রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্যই এই ঘটনা। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের অশ্বিন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ঠিকঠাক গাড়ি চালাতে পারি না। সেই কারণে সঠিক সময়ে সরতে পারিনি।’
ভারতের ইনিংসের ১০২-তম ওভারের ঘটনা। ইংল্যান্ডের বোলার রেহান আহমেদের ডেলিভারি কভারের দিকে ঠেলে রান নিতে যান অশ্বিন। কিন্তু নন স্ট্রাইকার্স এন্ডে দাঁড়ানো ধ্রুব জুড়েল ফিরিয়ে দেন অশ্বিনকে। তিনি রান নিতে অস্বীকার করেন। ভারতের অফস্পিনার সেই সময়ে পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ান। ফিল্ড আম্পায়ার পাঁচ রান দেন ইংল্যান্ডকে। অর্থাৎ ব্যাট করতে নামার আগেই ইংল্যান্ডের ঝুলিতে চলে আসে পাঁচ রান। সেই প্রসঙ্গেই দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে অশ্বিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। হেঁয়ালি করে অশ্বিন যা বলেন, তার অর্থ হলো, নড়তে চড়তে তাঁর সময় লাগে। সেই কারণে সঠিক সময়ে তিনি সরতে পারেননি।
ক্রিকেট নিয়মের ৪১.১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ব্যাটসম্যান পিচের ওই সংরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে দৌড়ালে তাঁকে সতর্ক করা হবে। আম্পায়ার যদি মনে করেন, ওই সংরক্ষিত অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট ব্যাটারের থাকার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ নেই, তাহলে আম্পায়াররা ধরে নেবেন ব্যাটার পিচের ওই সংরক্ষিত অঞ্চলের ক্ষতিই করছেন।  প্রথমে ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করা হবে। বোলিং এন্ডের আম্পায়ার দুই ব্যাটসম্যানকেই জানাবেন গোটা ঘটনা। ফের একই ঘটনা ঘটলে বল ডেড হওয়ার পর ৫ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে। সেই পেনাল্টিই দেওয়া হয়েছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment