পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পর অনশনরত চিকিৎসদের কাছে বার্তা এলো রাজ্য প্রশাসনের। অনশনরত চিকিৎসকদের বাধার মুখেই সমানে পেলেছে রাজ্য প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে চিকিৎসক এবং জনমত তীব্র হয়েছে গত কয়েকদিন। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন তাঁরা।
বুধবার, ধর্মতলার অনশনের পঞ্চম দিনে, রাজ্য সরকারের তরফে ইমেল করা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। বুধবার বৈঠকে জন্য সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানানো হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। ইমেলে জানানো হয় জুনিয়র ডাক্তারদের ৮ থেকে ১০ জনের প্রতিনিধি দল যেতে পারবেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে আমরা বৈঠকে যোগ দেব। তবে কতজন বৈঠকে যাবে তা জিবি বৈঠকের পর ঠিক করা হবে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিনিধি নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্ত্য ভবনে।
মূলত ১০ দফা দাবি নিয়ে তাঁরা শনিবার থেকে অনশনে বসেন। জুনিয়ার ডাক্তাররা বলেন তাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন জোরদার করবেন তাঁরা। অনশনের পঞ্চম দিনের মাথায় সরকারের তরফে বার্তা এলো বৈঠকে যোগ দেবার জন্য।
মঙ্গলবার রাজ্যে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতলে সিনিয়র ডাক্তাররা গণ ইস্তফা দেন। কার্যত বেকায়দায় পরে সরকার। অনশন মঞ্চে এসেছেন বিপুল সংখ্যার মানুষ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, দ্বিমুখী আন্দোলনের চাপেই বৈঠকে বসতে বাধ্য হলো প্রশাসন। তবে প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় সংশ্লিষ্ট সব মহলেই।
Junior Doctors Swashthya Bhawan
সদিচ্ছায় সংশয়, স্বাস্থ্যভবনে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
×
Comments :0