মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বুধবার, ২০ নভেম্বর সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহায়ুতি জোট ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) জোট শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের আশা করছে। এক নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ২৮৮টি বিধানসভা আসনে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ভোটদানের হার ৩২.১৮ শতাংশ। গড়চিরোলি জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ৫০.৮৯ শতাংশ, অন্যদিকে মুম্বই শহরে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মাত্র ২৭.৭৩ শতাংশ।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, লড়াইয়ে থাকা ৪,১৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে ৯.৭ কোটিরও বেশি ভোটার প্রতিনিধি বেছে নেবেন। মহায়ুতি জোটে বিজেপি লড়ছে ১৪৯টি আসনে, শিবসেনা লড়াইয়ে রয়েছে ৮১টি আসনে, অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি ৫৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
বিরোধীদের এমভিএ জোটে কংগ্রেস ১০১ জন, শিবসেনা (ইউবিটি) ৯৫ জন এবং এনসিপি (এসপি) ৮৬ জন প্রার্থী দিয়েছে, সিপিআই(এম) লড়ছে ৩টি আসনে।
বহুজন সমাজ পার্টি এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিন (এআইএমআইএম) সহ ছোট দলগুলিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, বিএসপি ২৩৭ জন এবং এআইএমআইএম ১৭ জন প্রার্থী দিয়েছে ২৮৮ সদস্যের নিম্নকক্ষে। বিজেপি ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ এবং ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’-এর মতো স্লোগান ব্যবহার কয়য় বিরোধী দলগুলি মহায়ুতির বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে ভোটারদের মেরুকরণের অভিযোগ তুলেছে।
কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদচন্দ্র পাওয়ার), বাম সমন্বিত এমভিএ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’’ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘‘এক হ্যায় তো নিরাপদ হ্যায়’’ স্লোগান ব্যবহারের সমালোচনা করেছে।
বিজেপির সব শরিক দলই এই স্লোগানকে সমর্থন করেনি। অজিত পাওয়ার, স্লোগান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্লোগানগুলির অর্থ স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলে শাসক জোটের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
Maharashtra Polls
বেলা ১টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার ৩২ শতাংশ
×
Comments :0