জলপাইগুড়ি জেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিস্তা, করলা, লিস, ঘিস, পাঙ্গা, যমুনা, জলঢাকা নদী সহ চা বাগানের সবুজ গালিচার মাথায় উঁকি দেওয়া হিমালয়।
সিকিমের বন্যার পর তিস্তায় ও তিস্তার উপনদী করলায় দেখা মেলেনি পরিযায়ী পাখির। অন্যান্য নদী ও আশপাশের খালবিলে খাবারের খোঁজে উড়ে গিয়েছিল তারা। পরিবেশ প্রেমীদের মতে তিস্তার জলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে পরিযায়ী পাখিরা আসছিল না তিস্তা সংলগ্ন নদী ও খাল বিলের জলে।
এ বছর বর্ষার শেষে আবারও জলপাইগুড়ির তিস্তা করলার মোহনায় টলটলে জলে ভিড় বাড়ছে পরিযায়ী পাখিদের। যা দেখে খুশি পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে চলা তিস্তা করলার জলে পুজো আসতেই ভিড় জমায় বিদেশি পরিযায়ী পাখির দল। সিকিমে তিস্তার বন্যার কারণে গত বছর শীতে দেখা মেলেনি তাদের। তবে এবারে তার ব্যতিক্রম হয়নি এ বছর আবারও দেখা যাচ্ছে তাদের।
ইতিমধ্যেই, সারালি, দোচারা, সহ পানকৌড়ির অবাধে নদীর জলে ভেসে যাওয়া বাড়িয়ে তুলেছে তিস্তা করলার মোহনায় দুই নদীর সৌন্দর্যকে। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ড: রাজা রাউত জানান, তিস্তা ও করলা নদীর পাড়ের অঞ্চলে দেশি পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে। এ ছাড়াও সুদূর ইউরোপ থেকে তিস্তা এবং করলা নদীর পাড়ে ইঁদুর, ব্যাঙের খোঁজে পাড়ি দেয় ব্লাক হুইল্ড বাজা, হ্যারিয়ার। মূলত এরা চিল প্রজাতির পাখি। অবৈধ হলেও তিস্তা এবং করলা নদী পার ঘেঁষে চাষবাস হয়। যার ফলে বেড়ে ওঠে ইঁদুরের সংখ্যা।
Migrant Birds Jalpaiguri
ফের পরিযায়ীর ভিড় তিস্তা, করলার বুকে
×
Comments :0