MODI 'I.N.D.I.A'

এবার ‘ইন্ডিয়া’-কে ঠগ কোম্পানির সঙ্গে তুলনা মোদীর

জাতীয়

বৃহস্পতিবার সিকরে মোদী।

বিরোধী জোটের নামকরণকে এবার ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এর আগে কংগ্রেস জোটের নাম ছিল ইউপিএ। ইউপিএ’র কুকীর্তি আড়াল করতে জোটের নতুন নাম দিয়েছে। ভুয়ো সংস্থাদের এমন কাজ করতে দেখা যায়। কুকীর্তি ঢাকতে নাম বদলায় বারবার। 

১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করে বিজেপি বিরোধী ছাব্বিশটি দল নিজেদের মঞ্চের নামকরণ করে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। ইংরেজি আদ্যক্ষর জুড়লে হয় ‘ইন্ডিয়া’। নির্বাচনী জোট না হলেও এই রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ পরিচয় নিয়েই তৎপর। মোদী গোড়া থেকে আক্রমণের কেন্দ্রে এনেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণকে। 

এর আগে তিনি বিজেপি’র সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। ব্রিটিশদের কোম্পানির নাম ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বা ঔপনিবেশিক শাসনের তুলনা টানায় সমালোচনার মুখেও পড়েন মোদী। 

কিন্তু এদিন রাজস্থানের সিকরে তিনি বুঝিয়েছেন আক্রমণের ধরন কী হবে বিজেপি’র। তিনি বলেছেন, ‘‘নামে ‘ইন্ডিয়া’ লেবেল সেঁটে অপকর্মকে আড়াল করতে চাইছে বিরোধীরা। ভারতের ভালো চাইলে দেশের বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কেউ চায়? এরা চেয়েছে।’’ জরুরি অবস্থার সময়ের কংগ্রেসের ভূমিকা তুলে মোদী বলেন, ‘‘এরা একসময়ে স্লোগান দিয়েছিল ইন্দিরা (গান্ধী) ইজ ইন্ডিয়া। তারপর ভোটে হেরে গিয়েছিল।’’ 

এদিন মোদীর বক্তব্যের সমালোচনায় সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন কথা মানায় না। পাপ ঢাকতে বিরোধীরা ‘ইন্ডিয়া’ নাম ব্যবহার করছে, একথা বলার মানে ভারতকে অসম্মান করা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস’র কোনও ভূমিকা ছিল না। বরং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ব্রিটিশের পক্ষ অবলম্বন করেছে। আরএসএস’র শাখা বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী তার নেতা। ওনার পক্ষে ‘ইন্ডিয়া’ শুনে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক।  

‘‘আসলে মোদী ‘ইন্ডিয়া’ নামকে ঘৃণা করেন। সংবিধানেই বলা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত শ্যাল বি এ ইউনিয়ন অব স্টেটস’ (‘ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারত’ একটি যুক্তরাষ্ট্র)।’’ চক্রবর্তী বলেন, মোদীকে এ কথা বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে।  

Comments :0

Login to leave a comment