নতুনপাতা : মণ্ডা মিঠাই
শিশুমনে কমিক্সের আঁকিবুঁকি
সৌরভ দত্ত
সাহিত্যের পাতা থেকে কমিক্স কি হারিয়ে গেল!আর মুঠোফোনের প্রভাবে ছোটরাও কি চোখফেরাচ্ছে কমিক্সের পাতা থেকে?একসময় টিনটিন,হাঁদা-ভোঁদা,বাঁটুল দি গ্রেট পড়বার জন্য উৎসুক হয়ে থাকত খুদের দল।শিশু-কিশোরদের কাছে কমিক্স ছিল স্বর্গরাজ্য।
জন বার্ন,গ্রান্ট মরিসন, অ্যালান মুর,ক্রিস ক্লেরমন্ট,মার্ক ওয়াইড,স্ট্যানলি প্রমুখেরা ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কমিক্সের রচয়িতা।বাংলা ভাষাতেও কমিক্সের যথেষ্ট চিন্তা চর্চা হয়েছে। পূর্বে
একেকটা দুপুর চিলেকোঠার অলিন্দে বা বিকেলে ছেলেপুলেদের পড়ার টেবিলে ও থাকত টিনটিনের দু:সাহসিক অভিযানের বই।নারায়ণ দেবনাথ প্রয়াত হয়েছেন কিন্তু ওনার নিজ হাতে চিত্রিত হাঁদা-ভোঁদার কাণ্ডকারখানা,নন্টে-ফন্টে ,বেড়াল বাহাদুর জয় করেছিল বাঙালির মন। বেলজামীয় শিল্পী জর্জ রেমির তৈরি কমিক্স সিরিজ টিনটিন বহুল জনপ্রিয় হয়েছিল।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য–সোভিয়েত দেশে টিনটিন,কঙ্গোয় টিনটিন,আমেরিকায় টিনটিন, আশ্চর্য উল্কা,চন্দ্রালোকে অভিযান,কান ভাঙা মূর্তি প্রমুখ।কখনো পড়ার আকর্ষণে স্কুলে ব্যাগেও ঠাঁই হতে কমিক্সের।কতিপয় কিশোর ছাড়া এখন আর কারোর সেরকম কমিক্স পড়া।বা গ্রন্থাগার মুখী হওয়ার প্রবণতা কমেছে।তবু ও আনন্দমেলার পাতায় পুরনো কমিক্স দেখলে আজও পড়তে ইচ্ছে করে। সত্যজিৎ এর প্রফেসর শঙ্কুর এক অসামান্য ফিকশন ধর্মী কমিক্স।চলতি সময়ে সেভাবে কমিক্স খুব বেশি লেখা হয় না।আর প্রযুক্তির কল্যাণে কমিক্সের সাথে সংযুক্তি ঘটেছে গ্রাফিক্স এর।তবুও পুজোর সময় এলে আজও কিছু শারদ সংখ্যার পৃষ্ঠায় উঁকি মারে কমিক্সের আঁকিবুঁকি।
Comments :0