SUJAN CHAKRABORTY

মানুষকে তাঁর অধিকার বুঝে নিতে হবে বাঁকুড়ায় সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য জেলা

বিভাজনের রাজনিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে রাজ্যে। একদিকে বাবরি মসজিদের শীলান্যাস, অন্যদিকে ঘোষণা করা হচ্ছে রবিবার ব্রিগেডে ৫লক্ষ মানুষ গীতাপাঠ করেছেন। রাজ্যের যুবক যুবতিরা কি হাতে কাজ পেয়েছেন? স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক, শিক্ষিকা আছেন? রাজ্য থেকে কি যুবকরা কাজের সন্ধানে বাইরে যাওয়া বন্ধ করেছেন? মিলছে এখানে কাজ? সব কটির উত্তর’ই না। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সব বাবরি মসজিদের শীলান্যাস, গীতা পাঠ সামনে আনা হচ্ছে। মানুষকে তাঁর অধিকার বুঝে নিতে হবে। প্রসার ঘটাতে হবে শিক্ষার। রবিবার বাঁকুড়া শহরের পোয়াবাগান এলাকায় এবিটির’র প্রকাশ্য সমাবেশে একথা জানান সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এদিনই বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এবিটির’র ১১তম জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনের শেষে প্রতিনিধিরা মিছিল করে পোয়াবাগানের সমাবেশে আসেন। এই সমাবেশে আসেন বাঁকুড়া ১নং ব্লক এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারন মানুষজনও। পোয়াবাগান চত্বর এলাকা মানুষের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে। 

সমাবেশে সুজন চক্রবর্তি জানান, বামফ্রন্ট সরকারের আগে শিক্ষা সাধারণ গরীবের বাড়িতে পৌঁছায়নি। ছিলনা শিক্ষকদের মর্যাদাও। বামফ্রন্ট শিক্ষাকে একটা জায়গায় নিয়ে আসে যেখানে গরীব, প্রান্তিক মানুষের পরিবারের ছেলেরা পড়াশোনার সুযোগ পায়। তিনি জানান, বাঁকুড়া জেলা শিক্ষায় এগিয়ে বহুদিন ধরেই। বাম সরকারের সময় পরিকাঠামোর উন্নয়নের ফলেই এটা হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরি পেতো যুবক, যুবতীরা। আজ একে কলুষিত করা হয়েছে। আমদানী করা হচ্ছে ধর্মীয় ভাবাবেগের রাজনীতি। এসব তো রাজ্যে ছিলনা। মানুষ কাজ চায়। রাজ্যে ৮০০০ স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। খুলেছে কয়েক হাজার মদের দোকান। এই অবস্থা কতদিন চলবে? সোচ্চার হতে হবে সাধারণ মানুষজনকেই। এদিন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবিটিএ’র রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন, সংগঠনের রাজ্য নেতা রানা ভট্টাচার্য্য, বিদায়ী জেলা সম্পাদিকা অস্মিতা দাশগুপ্ত ও কৃষক নেতা অজিত পতি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি পরেশ মন্ডল। 

Comments :0

Login to leave a comment