বুধবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের প্রবেশদ্বারে শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের এক প্রাক্তন উগ্রপন্থী। নারায়ণ সিং চৌরা নামে ওই বন্দুকবাজকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ধর ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সূত্রের খবর, ধর্মীয় শাস্তির অংশ হিসেবে মন্দিরের প্রবেশদ্বারে পাহারার দায়িত্বে থাকা সুখবীর বাদল নিরাপদে আছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নীল রঙের ‘সেবাদার’ ইউনিফর্ম পরা হুইলচেয়ারে বসা বাদল বর্শা হাতে বন্দুকধারীর চালানোর সময় রক্ষার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন। তবে অকালি দলের নেতার নিকটবর্তী মন্দিরের আধিকারিকরা তৎপর হয়ে বন্দুকবাজকে ধরে ফেলে।
সূত্রের খবর, চৌরা ১৯৮৪ সালে পাকিস্তান পেরিয়ে পাঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তানে চৌরা গেরিলা যুদ্ধ এবং ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহী’’ সাহিত্য নিয়ে একটি বই লিখেছিল বলে জানা গেছে। বুড়াইল জেল ভাঙার মামলাতেও তিনি অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের জেল খেটেছেন তিনি।
অকালিদের দ্বারা এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ সম্পর্কে সূত্র জানিয়েছে, চৌরা একজন কট্টরপন্থী এবং তাই তাকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না।
শিখদের সর্বোচ্চ অস্থায় সংস্থা অকাল তখতের নির্দেশে পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী, জেড-প্লাস সুরক্ষাপ্রাপ্ত স্বর্ণমন্দিরে পাহারার দায়িত্ব শুরু করার একদিন পরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) সরকার কর্তৃক সংঘটিত ‘‘ভুলের’’ জন্য এই আদেশ জারি করা হয়েছিল, যার মধ্যে ধর্মত্যাগ এবং কোটকাপুরায় পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। সুখবীর বাদল ছাড়াও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুখদেব সিং ধিন্দসাকেও স্বর্ণমন্দিরের গেটে পাহারায় দাঁড় করানো হয়েছিল। প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী-সহ অকালি দলের অন্য নেতাদের শৌচাগার পরিষ্কার করে কমিউনিটি কিচেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনাটি রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু করেছে, কংগ্রেস এবং শিরোমণি অকালি দল আইন ও সুরক্ষা নিয়ে ক্ষমতাসীন আপ সরকারকে টার্গেট করেছে। অকালি দল এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে, প্রবীণ নেতা দলজিৎ সিং চিমা এটিকে পাঞ্জাবকে ‘‘আগুনে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র" বলে অভিহিত করেছেন।
national news
পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি
×
Comments :0