TRIPURA SANHATI DIWAS

১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ত্রিপুরা সংহতি দিবস’ রাজ্যে

রাজ্য জেলা কলকাতা

TRIPURA SANHATI DIWAS ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারের ছবি।

ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের অপশাসন এ রাজ্যে তুলে ধরবে সিপিআই(এম)। ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ত্রিপুরা সংহতি দিবস’ পালন করবে সিপিআই(এম)। পার্টির দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 

গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় সরকার চালিয়েছে বিজেপি। আইনের শাসন, সংবিধানের তোয়াক্কা না করে চলেছে সরকার। ১৬ ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরা নির্বাচন। হিংসার রাজনীতি চালিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনও ছড়িয়েছে। সেই তথ্যই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে জানানোই এই কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্য। 

এই প্রসঙ্গে বুধবার সেলিম বলেন ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও আত্মিক যোগাযোগ গভীর। গত পাঁচ বছরে সে রাজ্যে বিজেপি যে অপশাসন চালিয়েছে তা সাধারণ মানুষের জানা দরকার। সেই কারণে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা সংহতি দিবস পালন করবে সিপিআই(এম)। 

বিগত পাঁচ বছর সে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। অন্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও বিজেপি বিরোধীদের ভোট ভাঙতে বিশেষ ভূমিকা নিতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। গোয়া হোক বা মেঘালয়ের মতো। 

এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরার নির্বাচনেও বিজেপি তৃণমূলকে ভাড়ায় খাটাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে মমতা কতবার ত্রিপুরায় গেছে। ত্রিপুরার মানুষ যখন আক্রান্ত হয়েছেন, বিরোধীদের ওপর যখন আক্রমণ চলছে তখন মমতা ত্রিপুরায় যায়নি। কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকে ফেলার জন্য বারবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর এই পাঁচ বছরে কতবার গিয়েছেন মমতা? তুলনা করলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে তৃণমূলের ভূমিকা কী।’’ 

২০১৮র ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু বিগত ৫ বছরে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে ত্রিপুরাবাসীর। সরকারি ক্ষেত্রে কর্ম সংস্থান প্রায় হয়নি। রেগার কাজে যে ত্রিপুরা সারা দেশে প্রথম স্থানে ছিল সেখান থেকে নেমে এসেছে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রেগার কাজে এমনিতেই বহুল বরাদ্দ কমিয়েছে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রে গ্রামীণ অঞ্চলে যে হারে কাজ হত বিজেপি শাসনকালে তা ব্যাপক হারে কমেছে। বিগত পাঁচ বছরে উন্নয়ন বলতে শুধু জাতীয় সড়ক নির্মানের কাজ ও রেল সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলিও অনুমোদন পেয়েছিল আগের বামফ্রন্ট সরকারে আমলেই। 

এদিন আবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টানেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক আলোচনায় তাঁর দাবি, ‘‘ত্রিপুরায় আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছে সাধারণ মানুষ। যে হিরের কথা আমি বলেছিলাম সেই হিরে হলো জাতীয় সড়ক নির্মাণ। রেল উন্নয়নের কাজ চলছে ও বিমান পরিষেবা উন্নত হয়েছে। ত্রিপুরা ভারতের বিকাশের ভাগীদার হয়েছে।’’ 

রাজ্যে যদিও বিজেপি নেতারাও এমন দাবি করতে পারছেন না। অমিত শাহের জনসভাতেও পাঁচ বছরে সাফল্যের উল্লেখ প্রায় ছিল না। ঘরে ঘরে কাজ, সপ্তম বেতন কমিশনের মতো কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদীর দল। বিজেপি’র এই ভূমিকা মনে করানোর পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির ভুয়ো প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেছেন সেলিম। 

তিনি বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরায় গিয়ে মমতা বলছেন বছরে দু’বার ডিএ দেবেন সরকারি কর্মচারীদের। অথচ পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া ডিএ না পেয়ে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের। রাস্তায় অবস্থানে বসতে হচ্ছে।’’

 

 

Comments :0

Login to leave a comment