CORBYN YECHURY

ব্রিটেনে লড়াইয়ের মুখ করবিনের সঙ্গে বৈঠক ইয়েচুরির

আন্তর্জাতিক

লন্ডনে পিস অ্যান্ড জাস্টিসের দপ্তরে জেরেমি করবিনের সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি।

প্রান্তিক জনতার স্বর সরবে উচ্চারণের জন্যই তাঁকে চেনে বিশ্ব, চেনে ব্রিটেন। লেবার পার্টি সরিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। নির্দল হয়ে ফের বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জেরেমি করবিন। মঙ্গলবার এই নেতার সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। 
ইয়েচুরি ব্রিটেনে গিয়েছেন একাধিক সংগঠনের আমন্ত্রণে। বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগ দিচ্ছেন। এর আগে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে অভিবাসী ভারতীয় কমিউনিস্টদের সমিতিতে বক্তব্য রাখেন ইয়েচুরি। গ্রেট ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রবার্ট গ্রিফিথসের সঙ্গেও হয় ইয়েচুরির বৈঠক।  
এদিন ‘দ্যা পিস অ্যান্ড জাস্টিস প্রোজেক্ট’-র দপ্তরে করবিনের সঙ্গে দেখা করেন ইয়েচুরি। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় বিভিন্ন বিষয়ে। 
অতি দক্ষিণপন্থী স্লোগান দিয়ে এবার ব্রিটেনের ভোটে নেমেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সময়ের আগে নির্বাচন ডেকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। কিন্তু ৪ জুলাই ব্রিটেনের জনতা বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টিকে। দক্ষিণপন্থী শিবিরে ভোট ভাগাভাগির দরুন বিপুল আসনে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। 
কিন্তু করবিন ইসলিংটন নর্থ আসনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির প্রার্থীকে ৭ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন। ১৯৮৩ থেকে এই কেন্দ্রে জয়ী হচ্ছেন করবিন, লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে। লেবার পার্টিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০১৫ থেকে ২০২০। তাঁকেই এবার সরিয়ে দেয় লেবার পার্টি। নির্দল হয়েই লড়তে হয়েছে করবিনকে। 
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘ব্রিটেন এবং ভারতে খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে হলো নির্বাচন। দু’দেশের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের।’’
ইউরোপে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থানের মধ্যেই এই শক্তিকে ধাক্কা দিয়েছে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের নির্বাচন। কিন্তু ব্রিটেনে অতি দক্ষিণপন্থী নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে ১৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। লক্ষ্যণীয়, কনজারভেটিভ পার্টি অভিবাসী বিরোধী অবস্থানে সরব হয় অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বক্তব্যকে মেনে নিয়ে। নির্বাচনে কায়ার স্টার্মারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিও কিন্তু এই অবস্থানের বিশেষ বিরোধিতা করেনি। 
বরং, করবিনের মতো বিভিন্ন অংশ বারবার অভিবাসী বিরোধী নীতির প্রতিবাদে শামিল হয়। শামিল হয়েছে প্যালেস্তাইনের গাজায় ইজরায়েলের একতরফা আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও। 
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এক ঘন্টার কিছু বেশি সময় আলোচনা হয়েছে করবিনের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রবণতা এসেছে আলোচনায়। বিশেষ করে রাজনীতিতে অতি দক্ষিণপন্থার অভিমুখে ঝোঁক নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে প্যালেস্তাইনের জনতার প্রতি সংহতির আন্দোলন নিয়েও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলা যুদ্ধজোট ‘ন্যটো’-র তৎপরতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও এসেছে আলোচনায়।’’

Comments :0

Login to leave a comment