LATERAL ENTRY

‘ল্যাটরাল এন্ট্রি’ নিয়োগে আঘাত সংবিধানে, প্রতিবাদে ইয়েচুরি

জাতীয়

ছবি সংগ্রহ থেকে।

সংবিধানের ওপর আঘাত করতেই সরকারি উঁচুপদে ‘ল্যাটরাল এন্ট্রি’ পদ্ধতিতে নিয়োগ হচ্ছে। আরএসএস’র অনুগামীদের প্রশাসনের এই পদগুলিতে বাসতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য সংরক্ষণর সাংবিধানিক নির্দেশ ভাঙা হচ্ছে।
কেন্দ্রের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক। লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও কড়া প্রতিবাদ করেছেন এই সিদ্ধান্তের। এই নিয়োগের প্রতিবাদে ২ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। এমনকি বিভিন্ন সময়ে বিজেপি-কে নানাভাবে সহায়তা করলেও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএসপি সভাপতি মায়াবতী।  
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জয়েন্ট সেক্রেটারি, ডিরেক্টর এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার ৪৫টি পদে ‘ল্যাটারাল এন্ট্রি’ পদ্ধতিতে নিয়োগ হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতরাো আবেদন জানাতে পারবেন। সরকারি আধিকারিক স্তরে এই পদগুলিতে নিয়োগ হয় ইউপিএসসি’র পরীক্ষার মাধ্যমে। সেই পদ্ধতিতে তফসিলি জাতি, আদিবাসী, অন্য অনগ্রসর অংশ সহ অন্য সংরক্ষণের বিধিও পালন করতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রের এই নির্দেশে সেসবের উল্লেখ নেই।
বলা হয়েছে, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে কর্মরত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থায় কর্মরত যাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরাই আবেদন জানাতে পারবেন। বিভিন্ন অংশই মনে করছে, এই পদ্ধতিতে আরএসএস’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাছাইয়ের প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু করে মোদী সরকার আমাদের সাংবিধানিক ব্যবস্থায় আঘাত করতে নেমেছে। সংবিধানে সংরক্ষণের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। সংবিধানের নীতি পালিত হলে ২৩টি পদ তফসিলি জাতি, আদিবাসী এবং অন্য অনগ্রসর অংশের জন্য রাখতে হতো।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘মনুস্মৃতি সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যগ্র হয়ে উঠেছেন মোদী।’’
২০১৭-তে এই পদ্ধতিতে নিয়োগের প্রস্তাব করে নীতি আয়োগ।

Comments :0

Login to leave a comment