বারবার সিগন্যালিংয়ের ত্রুটিতে হচ্ছে রেল দুর্ঘটনা। আর দায় চাপানো হচ্ছে রেলকর্মীদের ঘাড়ে। রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর রেল মন্ত্রকের ভূমিকায় সরব বিভিন্ন অংশ।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘রেলযাত্রা দিনের পর দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছাতে হবে। আহত যাত্রীদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রেলকে।’’
গত বছরের জুনেই ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানাহা স্টেশনের কাছে তিন ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ২৯৬ জন মারা গিয়েছিলেন। তখনও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থাব গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছিল। কিন্তু দাবি সত্ত্বেও ঘটনার গভীর তদন্ত চিহ্নিত করা হয়নি। যাত্রী সুরক্ষায় বরাদ্দ না থাকার তথ্যও সামনে এসেছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার যদিও বেশি মনোযোগী থেকেছে স্টেশনে স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটের পাশে সেলফি তোলার ব্যবস্থা করতে। রেলের কর্মী প্রয়োজনের তুলনায় কম, এসেছে তা নিয়েও বহু প্রশ্ন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও প্রশ্ন তুলছেন রেলের গাফিলতিতে। তিনি বলেছেন, ‘‘ঘটনাস্থলের ছবি গভীর যন্ত্রণার। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘গত দশ বছর ধরে মোদী সরকার রেল মন্ত্রকে অব্যবস্থা চালু করেছে রেখেছে। বিরোধী দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব প্রমাণ করা যে রেল মন্ত্রককে কিভাবে নিজস্ব প্রচারের মাধ্যম করে তোলা হয়েছে। আজকের দুঃখজনক ঘটনা এই বাস্তবতাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে।’’
খাড়গে বলেছেন, ‘‘ভারতীয় রেলের প্রতি এমন অবহেলা অপরাধমূলক। মোদী সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করব।’’
সেলিম মনে করিয়েছেন যে এর আগে উত্তর পূর্বের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি রেল।
KANCHANJUNGHA RAIL ACCIDENT
বারবার দুর্ঘটনা রেলের গাফিলতিতে, ক্ষোভ সেলিম-খাড়গের
×
Comments :0