মধ্যপ্রদেশের কমল মৌলা মসজিদের ভোজ শালার প্রত্নতাত্ত্বিক রিপোর্টে হাইকোর্টে জমা করলো ভারতীয় পুরাতত্ব বিভাগ। ২০০০ পাতার এই রিপোর্ট সোমবার আদালতে জমা পড়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ভোজ রাজের তৈরি সরস্বতী মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে ওই ভোজশালা। ২০০৩ সাল থেকে এই বিতর্কিত কাঠামো নিয়ে চলছে দুই পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার করে ধর্মীয় আচার উপাচার পালন করতে পারেন হিন্দু ধর্মের লোকেরা। শুক্রবার করে নমাজ পড়তে পারেন মুসলিম ধর্মের লোকেরা।
হিন্দুত্ববাদীদের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন দাবি করেছেন ওই ভোজ শালা থেকে ৯৪টি হিন্দু ধর্মের দেব দেবীদের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। যদিও রিপোর্টে কি আছে তা এখনও জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনজীবী জৈন বলেছেন, ‘‘প্রত্নতাত্ত্বিক রিপোর্টে স্পষ্ট যে ওই ভোজ শালা হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে। ওই ভোজ শালায় শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মের উপাচারই পালন করা উচিত।’’
হিন্দুত্ববাদীদের আবেদনের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ১১ মার্চ বিতর্কিত ভোজ শালার প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। গত ৪ জুলাই আদালতের পক্ষ থেকে ভারতীয় পুরাতত্ব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয় ১৫ জুলাই আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা করার।
বিশেষঞ্জদের মতে লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর ফের নতুন করে ধর্মীয় জিগির তুলতে চাইছে আরএসএস এবং বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে চলছে আইনি লড়াই। একই ভাবে সমীক্ষার রিপোর্টে ওপর ভিত্তি করে মসজিদের একটি কোঠা খুলে দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় উপাচার পালন করার জন্য।
Bhojshala
হাইকোর্টে জমা পড়লো ভোজ শালার প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার রিপোর্ট
×
Comments :0