প্রশাসনিক বৈঠকেও জট কাটলো না বাস ধর্মঘটের। বাস মালিক পক্ষ অনড় থাকলো ধর্মঘটে। আর আশ্বাসে নয়, পথে নেমে প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ দেখার পর বাস মালিক ইউনিয়ন ঠিক করবে বাস চলবে কি না। এদিকে শর্ট রুটের বাস ধর্মঘটের প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শর্ট রুটের বাস যাত্রীরা। সকালে ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক শিক্ষিকা সহ দৈনিক অফিসযাত্রীরা বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে এসে বিভ্রান্তিকর ভাবে ঘোরাফেরা করছেন। কলকাতা শিলিগুড়ির মতো দূর পাল্লার গাড়ি সকালে যাত্রী নিয়ে গঙ্গারামপুর, পতিরাম বা বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছালেও পরবর্তী শর্ট রুটে যাবার অপেক্ষায় থাকলেও তারা বাস পায়নি। হিলির অফিস যাত্রী মৌসুমি রায় বলেন, ‘‘প্রতিদিনের হিলি যাওয়ার নির্দিষ্ট বাস পাইনি। কি ভাবে যাবো বুঝতে পারছিনা।’’ চিঙ্গীশপুরের অর্জুন টুডু বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে কাজে গিয়েছিলাম বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে বাড়ি যাওয়ার বাস পাচ্ছিনা।’’ তিওড়ের ছাত্রকে কলকাতা থেকে বালুরঘাটে নেমে বাড়ি যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে সমস্যায় পড়তে দেখা গেলো। বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা টিউশনে যেতে না পেড়ে তাদের সমস্যার কথা বলছে। মালিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, ‘‘বিভিন্ন শর্ট রুটে শতাধিক বাস চলছে না। যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি কিন্তু আমরা নিরুপায় হয়েই সিদ্ধান্ত এই নিয়েছি। বর্তমানে প্রতিমাসে লাভতো হয় না উলটে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরা। প্রশাসন রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কে টোটোর কোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বহুবার আর টি ও দপ্তরে টোটোর অবৈধ ভাবে রাজ্য ও জাতীয় সড়কে যাতায়াতে অভিযোগ জানালেও কোন সদুত্তর মেলেনি তাই এই ধর্মঘট।’’ তাদের বক্তব্য যতদিন না প্রশাসন সঠিক ব্যাবস্থা নেবে জেলার সমস্ত শর্ট রুটে কয়েকশো বাস বন্ধ হয়ে থাকবে।
Comments :0