Bangla Bachao Jatra

দল বদলেছেন বিধায়ক, বদলায় না রাস্তা

রাজ্য বাংলা বাঁচাও যাত্রা

অনির্বাণ দে: সাগরদীঘি

রাস্তায় ঢোকার মুখে ফ্লেক্স। মমতা, এবং অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে রয়েছে দলবদলু সেই বিধায়কের ছবি। কিন্তু রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। বাইক চললে নৌকোর মতো দোলে। 
সাগরদিঘী বামফ্রন্ট সরকারের সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আলোচিত ছিল। সময় বদলেছে। এখানে রাজনীতির কথা উঠলেই চলে আসে বায়রন বিশ্বাসের নাম। 
২০২৩’র সাগরদিঘী বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বায়রন। বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নাড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূলকে। বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পরও কংগ্রেস বামকে শাসিয়েছিলেন মমতা। মাসখানেকের মধ্যে বায়রনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ এবং দলবদল। 
সে সবই হলো, কিন্তু তার সঙ্গে রাস্তাটার অবস্থা আরো খারাপ হলো। দুলুনি দিয়েই চলছে টোটো, ছোট গাড়ি। আর উড়ছে ধুলো। ‘পথশ্রী-৩’ লেখা বোর্ডে ধুলোর আস্তরণ। 
সাগরদীঘি থেকে কাবিলপুর হয়ে জঙ্গিপুর, গোটা রাস্তার অবস্থা খারাপ। তবে শোচনীয় অবস্থা কাবিলপুরের। ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’য় এই রাস্তাতেই হলো বাইক মিছিল। চোখে পড়ছে দেওয়াল লেখা, রাস্তা সারানোরই দাবিতে। 
নিজামুদ্দিন মন্ডল এখানেই সিপিআই(এম) করেন। বললেন, “বিধায়কের দলবদলের পর কোনো কাজ হয়নি। হচ্ছে না।”
কাবিলপুর এলাকায় রাস্তা সারানোর দাবিতে হয়েছে নাগরিক আন্দোলন। জঙ্গিপুরের সংসদ তৃণমূলের খলিলুর রহমানের গাড়ি আটকে হয়েছে বিক্ষোভ। 
কাবিলপুরে পথসভায় দুই বক্তা, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য প্রতিকুর রহমান এবং এসএসআই নেত্রী দীধিতি রায়, দুজনেই সরব হলেন রাস্তা নিয়ে। প্রতিকুর বললেন, “দল বদল করিয়ে হার এড়াতে পারবে না তৃণমূল। ছাব্বিশের ভোটে এই রাস্তার থেকেও খারাপ অবস্থা হবে।” 
জনতার রায় দিতে না দেওয়ার তো পর্ব আছে, জনতার রায় উল্টে দিতে দলবদল পরিয়ে জনপ্রতিনিধি কেনে নেওয়ার উদাহরণও কম নেই মুর্শিদাবাদে। কাবিলপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরাই সব থেকে বেশি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রধানকে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। তারপরও এই পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি।
নির্মল কুমার দাস কৃষকসভার স্থানীয় নেতা। বোখারা-১ পঞ্চায়েতে নির্বাচিত সদস্য। বাইক নিয়ে ছেলের মিছিলে। বললেন, “দলবদল করানো যায়। আমরাই প্রচার করেছিলাম ফলে প্রশ্নের মুখেও পড়েছি। কিন্তু বিধায়ক চলে গেলেও পার্টিটা আছে, থাকবে।”
কাবিলপুরে সভায় ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা সুমিত দে, সোমনাথ ভট্টাচার্যও।

Comments :0

Login to leave a comment