মঙ্গলবার থেকে ইডেন গার্ডেন্সে রনজি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলা এবং ঝাড়খন্ড। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করে ঝাড়খন্ডের প্রথম ইনিংস ১৭৩ রানের মধ্যেই গুটিয়ে দেন বাংলার বোলাররা। কুমার সুরজের ৮৯ রানের ইনিংস ছাড়া ঝাড়খন্ডের হয়ে বলার মতো রান কোনও ব্যাটারই করতে পারেননি।
বাংলার হয়ে আকাশদীপ ৪টি এবং মুকেশ কুমার ৩টি উইকেট নেন। ঈশান পোড়েল এবং আকাশ ঘটকের সংগ্রহ ১টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩২৮ রানের বড় স্কোর তৈরি করে বাংলা। ফলে প্রথম ইনিংস শেষে ঝাড়খন্ডের থেকে ১৫৪ রানে এগিয়ে থাকে বাংলা। বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন শাহবাজ আহমেদ। অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং সুদীপ ঘরামিও ব্যাটে রান পান। অভিমন্যু ৭৭ রান এবং সুদীপ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন।
১৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ঝাড়খন্ড। এবং সেই ইনিংসে বাংলার বোলারদের দাপটে প্রথম থেকেই পিছু হঠতে হয় পড়শি রাজ্যের ব্যাটারদের। তৃতীয় দিন শেষে ঝাড়খন্ডের স্কোর ১৬২ রানে ৭ উইকেট। মাত্র ৭ রানে এগিয়ে রয়েছে ঝাড়খন্ড।
বাংলার হয়ে আকাশদীপ, আকাশ ঘটক এবং শাহবাজ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন ঈশান পোড়েল। ঝাড়খন্ডকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরান ওপেনার আর্যমান সেন এবং ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অনুকুল রায়। আর্যমান ৬৪ এবং অনুকুল ৪০ রানে আউট হন। মূলত আর্যমান আউট হওয়াতেই ম্যাচের রাশ পুরোপুরি বাংলার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই ঝাড়খন্ডের বাকি ৩টি উইকেট তুলে নিতে চাইবেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে শুক্রবার মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির আগেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে চলেছেন বাংলার ক্রিকেটাররা।
Comments :0