তপন বিশ্বাস - চাকুলিয়া
চুরির মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে খন্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিহার পুলিশ। নিজেদের বাঁচাতে বিহার পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলি করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে চাকুলিয়া থানার রামপুর সংলগ্ন বিলাতি বাড়ি এলাকায় শুক্রবার বিকেলে। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন। যদিও বিহার পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেল নাগাদ বিহারের কৃসান গঞ্জ জেলার কৃসানগঞ্জ থানার পুলিশ চাকুলিয়া থানা এলাকার বিলাতিবাড়ি গ্রামে নুর আলম নামে এক ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে যায়। সে কানকি থেকে ভুট্টা বিক্রি করে সবে বাড়ি ফিরেছেন। সেই সময় ওই গ্রামের বাসিন্দারা বিহার পুলিশকে ঘিরে ধরে এবং বিহার পুলিশ প্রাণে বাঁচতে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। এছাড়া উপস্থিত বাসিন্দাদের মারপিট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় উত্তেজিত জনতা একত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডালখোলা পুলিশ মহকুমার আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও চাকুলিয়া থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী। কিছু সময় জাতীয় সড়ক অবরোধ থাকার পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। এদিকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য চাকুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিহার পুলিশ চাকুলিয়া থানার পুলিশকে এই অভিযান চালানোর বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি বলে জানা গেছে। আর সেখানেই বিহার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ডালখোলা পুলিশ মহকুমার আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, আমরা শুনতে পেয়েছি ঘটনাস্থলে বিহার পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে কিন্তু আমরা তিনটি কার্তুজের খোলস পেয়েছি। বিহার পুলিশ অভিযান চালানোর বিষয়ে চাকুলিয়া থানাকে কিছু জানাইনি। তবে কেন ঘটনা এ ধরনের মোর নিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিহার পুলিশের পদস্থ আধিকারিকের জানতে চাওয়া হবে। এছাড়া ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে বিহার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে এক গাড়ি টা চুরির অভিযোগ ছিল নুর আলম এর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে বিহার পুলিশ। কিশনগঞ্জের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গৌতম কুমার গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
Bihar Police
চাকুলিয়ায় গুলি চালাল বিহার পুলিশ, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ
×
Comments :0