Bankura Rape and Murder

বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে মহিলার দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

রাজ্য জেলা

মধুসূদন চ্যাটার্জি -বিষ্ণুপুর 
বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে অভিযোগ পরিবারের। আর জি কর হাসপাতালে ঘটনা বর্বরোচিত ঘটনার রেশের মাঝেই ফের ধর্ষণ করে নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল রাজ্যে। রবিবার সকালে বিষ্ণুপুর শহর থেকে ১৭কিলোমিটার দুরে বাঁকাদহের পূর্বপ্রান্তে গভীর জঙ্গলে এক ৪৬বছর বয়সী খেতমজুরের নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের লোকজনের স্পষ্ট অভিযোগ তাঁদের পরিবারের ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কারণ যে অবস্থায় গভীর জঙ্গলে তাঁর দেহ পড়ে ছিল শরীরে কোন বস্ত্র ছিলনা। মহিলার শরীরকে টানতে টানতে প্রায় ২০ ফুট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতে স্পষ্ট যে যৌন অত্যাচার চালিয়েই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।
সাত সকালেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটিকে তুলে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষন পরই এলাকার তৃণমূলের নেতা হরিপদ সর্দার ওই মহিলার স্বামীকে একপ্রকার হাইজ্যাকে করে বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে আসে। এর পরই মহিলার ভাসুর সরাসরি জানান, তাঁর বৌমার উপর যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। তাঁর এই বক্তব্যকে জানিয়েই বাঁকাদহের সিপিআই (এম) নেতা অভিজিৎ নায়েক বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষকে মেইল করে জানান, নিহত মহিলার ময়নাতদন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে করতে হবে। পুরো ঘটনার ভিডিওতে তুলে রাখতে হবে। এই দাবির ফলে বিষ্ণুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই প্রাথমিক ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই ফের ওই মহিলার দেহ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে এদিন বিকালে জানান বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস। তিনি জানান, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা দায়েব করা হয়েছে। মৃতার স্বামীই এইএফআইআর দায়েব করেছেন। একই কথা জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ) মকসুদ হাসান। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে হয় তা হবে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment