কলকাতাগামী জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে পরিত্যাক্ত ব্যাগকে ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ ট্রেনটি দক্ষিণেশ্বরে স্টেশনে ঢোকার পর থামিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় আধা ঘন্টার বেশি সময় ধরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীরা নেমে এসে খোঁজখবর করতেই রেলের তরফ থেকে জানানো হয় (এস-৮) স্লিপার কোচে একটি পরিত্যক্ত একটি কালো ব্যাগকে কেন্দ্র করে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ট্রেনে। পরিত্যক্ত ওই ব্যাগটি যাত্রীদের প্রথমে নজরে আসে। তারাই খবর দেয় আরপিএফ-এ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আরপিএফের শীর্ষ আধিকারীকরা। মুহূর্তের মধ্যেই ওই কামরাটি খালি করে দেওয়া হয়। এরপর স্নিফার ডগ এবং বম্ব স্কোয়াডের লোকজন এসে ওই কামড়ায় তল্লাশি শুরু করে। স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ব্যাগটিতে।
জুমু তাওয়াই এক্সপ্রেসের গার্ড তাপস কুমার কুন্ডু জানান, ‘‘জম্মু তাওয়াই স্টেশন থেকে বুধবার রাত সাড়ে আটটায় ট্রেনটি ছাড়ে। এদিন শিয়ালদার ঢোকার আগেই আমাকে জানানো হয় যে এই ট্রেনের ওই নির্দিষ্ট কামড়ায় ভিতর লাল ব্যাগ আছে এবং ট্রেনটিকে যাতে আর সামনের দিকে এগিয়ে না নিয়ে যাওয়া হয়। তার ভেতর থেকে টিকটিক আওয়াজ হয়। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়ায়।’’
ওই ট্রেনের (এস-৮) স্লিপার কোচের এক যাত্রীর বক্তব্য, ‘‘ব্যাগটার ভিতর থেকে টিক টিক শব্দ হচ্ছিল। দক্ষিণেশ্বর ঢোকার আগেই ১৩৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তারপর আরপিএফ আসে। স্নিফার ডগ এবং বম্ব স্কোয়াডের লোকজন এসে ওই কামড়ায় তল্লাশি শুরু করে। স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ব্যাগটিতে।’’
এদিকে দক্ষিণেশ্বরে শিয়ালদহ জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পরপর একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পরে।
যাত্রীরা বলছেন হঠাৎ করে ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয় এবং বেশ কিছুক্ষণ থামার পর আমরা রেলের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ট্রেনটিকে আপাতত থামানো হয়েছে। পরে জানা যায় ট্রেনের কামরা থেকে একটি পরিত্যাক্ত ব্যাগ পাওয়া গেছে। পরিত্যাক্ত ব্যাগকে ঘিরে শুরু হয় চাঞ্চল্য। জানা গেছে ওই কোচটি তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাগটি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে নামিয়ে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি কলকাতার দিকে রওনা হয়।
Comments :0