অ্যালিসন বেকার : ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক তিনকাঠির নীচে গোটা দলকে বেশ ভরসা দিচ্ছেন। প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব লিভারপুলের হয়ে খেলেন এবং এই বিশ্বকাপে সাম্বা ব্রিগেডের অন্যতম ভরসা।
মারকুইনহস: ব্রাজিল স্কোয়াডের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পিএসজি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন। ২৮ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই ৭০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।
থিয়াগো সিলভা: দলের অধিনায়ক। ব্রাজিল এবং চেলসি ডিপ ডিফেন্সের অন্যতম ভরসা থিয়াগো। বিশ্বকাপের আগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এই সেন্টারব্যাক। জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ১০৮টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন থিয়াগো সিলভা।
ক্যাসেমিরো: মাঝমাঠে ঝড় তোলার অপর নাম। ব্রাজিল দলের আক্রমণ তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রধান অস্ত্র। রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড- ক্লাব ফুটবলে একের পর এক দুরন্ত সাফল্য রয়েছে তাঁর নামের পাশে। চলতি বিশ্বকাপে যেকোনও বিপক্ষ দলে ত্রাস সঞ্চার করতে পারেন ক্যাসেমিরো।
ফ্যাবিনহো: ২৯ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে নিয়ে বেশ আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। বিপক্ষ দলের আক্রমণকে মাঝমাঠে আটকে দিয়ে পালটা কাউন্টার অ্যাটাক তুলে আনায় সিদ্ধহস্ত এই ফ্যাবিনহো। লিভারপুলের হয়ে ইতিমধ্যেই নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন তিনি।
ফ্রেড: ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ২৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের ফুটবলারটিকে নিয়ে আশায় বুক বাধছেন লক্ষ লক্ষ ব্রাজিল সমর্থক। এই বিশ্বকাপে ফ্রেড এবং ক্যাসেমিরো জুটি ঘুম ছোটাতে পারে যে কোনও প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগের।
লুকাস পাকুয়েতা: ব্রাজিল দলের ৭ নম্বর জার্সি তাঁর জন্য রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ২৫ বছর বয়সী, প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই অ্যাটাকিং ফুটবলারটি আবার ব্রাজিল কোচের প্রিয় ছাত্র। বিশ্বকাপের আগে চোট থাকলেও ফর্মে ফিরতে বিস্তর ঘাম ঝড়িয়েছেন পাকুয়েতা।
নেইমার: ব্রাজিল দলের অন্যতম স্তম্ভ। দলবদ্ধতার মধ্যেও তাঁর একক দক্ষতা যেকোনও ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে। ফরাসী ক্লাব পিএসজি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সেন্টার ফরোয়ার্ড। দেশের হয়ে তাঁর খেলা হয়ে গিয়েছে ১২০টি ম্যাচ। তাঁকে নিয়ে প্রচুর প্রত্যাশা রয়েছে ব্রাজিল সমর্থক এবং তাঁর অনুগামীদের। নেইমার ম্যাজিক কি দেখা যাবে? আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা।
ভিনসিয়াস জুনিয়র: মাত্র ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ইতিমধ্যেই লা-লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পায়ের জাদু দেখিয়েছেন। এবার পালা বিশ্বকাপে। ভিনসিয়াস এবং নেইমার জুটি যদি ‘ক্লিক’ করে যায়, তাহলে গোলের বন্যা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
গ্যাব্রিয়েল জেসাস: প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব আর্সেনালের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে। গ্যাব্রিয়েলের সবথেকে বড় গুণ হল দায়িত্ব নিতে পারার ক্ষমতা। একইসঙ্গে গোটা দলকে তাতানোর ক্ষমতাও তাঁর রয়েছে। টপবক্সে একাধিক সুযোগ তৈরি করার নায়ক হলেন এই গ্যাব্রিয়েল জেসাস।
Comments :0