হোমে দেখার লোক নেই, কয়েক দিনের জন্য বাচ্চাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে মিটিং অভিভাবকদের ডাকা হয়। গেট বন্ধ করে ডিসিপিও অফিসের আধিকারীকদের আটকে রাখার অভিযোগ, ঘটনাকে ঘিরে রনক্ষেত্র চন্দননগরের প্রবর্তক হোম।
চন্দননগরের প্রবর্তক সেবা নিকেতন হোমে উত্তেজনা,ভাঙচুর, রনক্ষেত্র। পুলিশ গেলে পুলিশকে আক্রমণ। পাল্টা পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। দুটি চার চাকা গাড়ি ভাঙচুর। আহত ছাত্রীরা।
হোমের দেখা শোনার দায়িত্বে থাকা পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে হোমের এক আবাসিকের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ ওঠে গত শুক্রবার। এরপর থেকে পরিমল আর হোমে আসেনি। সে নিয়ে আবাসিক ও তাদের অভিভাবকদের ক্ষোভ ছিল। বৃহস্পতিবার জেলা চাইল্ড প্রটেকশন অফিস থেকে লোকজন হোমে যায়। তারা বলেন মেয়েরা পড়াশোনা করছে না, মেয়েদের কয়েকদিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। এর পর তাদের আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ র্যাডফ উদ্ধার করতে গেলে ঢিল ছোঁড়া শুরু হয়। অভিযোগ দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন অফিসারের গাড়ি ও ভাংচুর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ করেও ঢিল ছোঁড়া হয়। এর পরেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে। আধিকারীকদের উদ্ধার করে। ঘটনায় আহত হয় প্রায় আট জন আবাসিক মেয়ে। বিশাল উত্তেজনা থাকায় চন্দননগর পুলিশের ডিসি এসিপি পদমর্যাদার অফিসারের ঘটনাস্থলে পৌঁছান। চন্দন নগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি হেড কোয়ার্টার ইশানি পাল বলেন, ‘’এখানকার সভাপতির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার রুজু হয়েছে। যদিও এখনো তার খোঁজ মেনে নি। এদিন প্রবর্তক সেবা নিকেতনে একটি মামলার তদন্ত চলছিল। তার ভিত্তিতেই আশ্রমে এসে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'' ঘটনাস্থলে সিডাব্লুসি ও চাইল্ড পটেকশন থেকে ও টিম আসে।
Chandannagar
চন্দননগর প্রবর্তক হোমে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশের লাঠি চার্জ
×
Comments :0