হাসপাতালের বেডের চাদর নোংরা, নিয়মিত সাফাই হয় না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে আনা চাদর পেতে হাসপাতালে থাকছেন রোগীরা। এই ছবি মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের।
জানা গেছে, মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের বেডের চাদর ধোয়ার বরাত পাওয়া ঠিকাদার ৮ মাস ধরে টাকা পাচ্ছেন না। পুজোর মুখে কর্মীদের বেতন দিতে না পেরে তিনি বিপাকে পড়েছেন। রোগীরা বাধ্য হয়ে নোংরা চাদর ব্যবহার করছেন। একজনের ব্যবহার করা চাদর অন্যজন ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। সব জেনেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ। টাকা না পাওয়ায় ৪-৫অক্টোবর কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল বরাত পাওয়া এজেন্সি। তাদের বক্তব্য, আগেই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, পাওনা না মেটালে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তবুও বিল মেটানো হয়নি।
রোগী কল্যাণ সমিতি, মহকুমা শাসক এই পরিস্থিতির সবটা জানে। স্বাস্থ্য দপ্তর এই কাজের বরাত যাদের দিয়েছিল তারা শুধু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাজ করছে। মহকুমা হাসপাতালে স্থানীয় ভিত্তিতে বরাত দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এজেন্সির বিল ট্রেজারিতে পাঠানো হলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন না হওয়ায় সঙ্কট বাড়ছে। এ বিষয়ে মহকুমা শাসক হস্তক্ষেপ করে দ্রুত বিল মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বরাত পাওয়া ব্যক্তিকে।
তবে হাসপাতালে রোগীদের অভিযোগ, সমস্যা মেটেনি। নোংরা বিছানার চাদরই ব্যবহার করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই বাড়ি থেকে চাদর এনে বিছানায় পেতে নিচ্ছেন।
Comments :0