Haryana violence

সংঘাত বিদ্ধস্ত নুহ’তে সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধি দল

জাতীয়

HARYANA COMMUNAL CLASH NUH GURGAON BENGALI NEWS

সাম্প্রদায়িক সংঘাত বিদ্ধস্ত হরিয়ানার নুহ’তে বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম)’র এক প্রতিনিধি দল যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু, রাজ্যসভার সাংসদ এএ রহিম এবং ভি শিবদাসন, সিপিআই(এম)’র হরিয়ানা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ইন্দরজিৎ সিং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মসূচিকে ঘিরে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের গুরগাঁও লাগোয়া হরিয়ানার নুহ’তে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নুহ’তে ঐতিহাসিক ভাবে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই কারণেই এই এলাকাকে ঘিরে সংঘ পরিবারের তৎপরতা বরাবর চোখে পড়ে। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নুহ’র সংঘর্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করে মনু মানেসর নামে এক স্বঘোষিত গোরক্ষক। সংঘর্ষ চলাকালীন মনু মানেসরের বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করছে- এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে হরিয়ানা পুলিশের ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে গুলি চালাচ্ছে গোরক্ষকরা। 

হিন্দুত্ববাদীদের উষ্কানির ফলে নুহ’তে সংঘর্ষ ছড়ালেও হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর সরকার বেছে বেছে মুসলমান সম্প্রদায়ের দোকান, হোটেল এবং বস্তি বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। এদিন সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিদল সেই সমস্ত আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। সিপিআই(এম) নেতৃত্ব কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সর্বস্ব হারানো সাধারণ মানুষ। তাঁরা নুহ’র শান্তি কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন। 

৩১ জুলাইয়ের রাতে নুহ’র সেক্টর ৫৭’র আঞ্জুমান মসজিদে হামলা চালায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উন্মত্ত বাহিনী। মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ থাকলেও এই হত্যাকান্ড ঠেকাতে কোনও ভূমিকা নেয়নি খট্টর সরকারের প্রশাসন। এদিন সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিদল সেই মসজিদ এবং সংলগ্ন এলাকাতেও যান এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। 

প্রসঙ্গত, অশান্তির পরে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নুহ’তে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন। 

Comments :0

Login to leave a comment