কমিশনের দায়িত্ব ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার, সেই কাজ তাদের করতে হবে। তার সাথে বিএলওদের যেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার দায়ও কমিশনকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের স্পেশ্যাল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্তর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী। এদিন কমিশনে সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে স্পেশ্যাল অবজার্ভারের সাথে দেখা করতে যান সিপিআই(এম) নেতা শমীক লাহিড়ী এবং সর্বানী প্রসাদ সাঁতরা।
লাহিড়ী বলেন, ‘‘এসআইআরকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও বিএলওরা আত্মহত্যা করেছে এর দায় কে নেবে? এর দায় কমিশনকে নিতে হবে। এখন সময় বাড়াচ্ছে কমিশন, প্রথম দিনই আমরা বলেছিলাম এই সময়ের মধ্যে কাজ করা সম্ভব নয়।’’
উল্লেখ্য সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে বার বার দাবি করে আসা হয়েছে বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারির যেই সংখ্যা সেই সংখ্যা নিয়ে এই কম সময় এই কাজ করা সম্ভব নয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথাও বলা হয় সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে।
নেতৃত্ব বলে এদিন তারা দাবি জানিয়েছে, বিএলও যেই নাম আপলোড করেছে তার বাইরে ইআরও দপ্তর থেকে যেই নাম আপলোড হয়েছে সেই সব নামের ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন করতে হবে। দরকার পড়লে তাদের শুনানিতে ডাকতে হবে। নির্দেশ দিতে হবে ইআরওকে যাতে তারা নাম না তুলতে পারে, শুধুমাত্র বিএলওদের ক্ষমতা দেওয়া হোক নাম তোলার।
এদিন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব বলে, রাজ্যে সাত কোটি লোকের কাছে পৌঁছানের জন্য যেই লোক দরকার সেই লোক নেই। এই রাজ্য তো কোন নিয়োগ হয় না। পশ্চিবঙ্গের ক্ষেত্রে সিইও অফিস বলছে সাত কোটি ৬৬ লক্ষের মধ্যে ২ কোটি লোককে ম্যাপিংয়ে পাওয়া যায়নি। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই কাজ করা সম্ভব ছিল।
শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘‘এবারের এসআইআরে যুক্ত করা হয়েছে নাগরিকত্ব। এটা কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার নয়। এসআইআর চলাকালিন একজনের ফর্ম খারিজ করা হয়েছে এই বলে যে সে নাকি নাগরিক নয়। কোথা থেকে তারা এই কথা জানলো? কমিশন সংবিধানকে মান্যতা না দিয়ে কাজ করছে। প্রতিদিন বিএলওদের ওপর হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে মৃত এবং স্থানান্তরিতদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না।’’
সাংবাদিক সম্মেলনে কুলপির তৃণমূল নেতার অডিও শোনানো হয় সিপিআই(এম) নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। যেখানে স্পষ্ট তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশ রয়েছে মৃত এবং স্থানান্তরিতদের নাম কোন ভাবে যেন বাদ না যায়।
এদিন সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে, ফলতায় বিডিও দপ্তর তৃণমূলের দলীয় দপ্তরে পরিনত হয়েছে। কমিশনকে বলা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিএলওদের বলা হয়েছে ফর্ম তুলতে হবে না। ইআরও দপ্তরে তাদের ফর্ম দিতে বলা হচ্ছে। তারপর আই প্যাক সেই ফর্ম আপলোড করছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের নাম করে ছেলে খেলা করা হচ্ছে।
Comments :0