MONU MANESAR GORAKSHA

‘গোরক্ষা’-র নামে হত্যায় যোগ স্বীকার মনুর, দাবি রাজস্থান পুলিশের

জাতীয়

MONU MANESAR GORAKSHA অস্ত্র হাতে এমন একাধিক ছবি পোস্ট করেছে মনু মানেসর।

গোরক্ষার নামে দুই যুবককে পুড়িয়ে হত্যায় যোগসাজস স্বীকার করেছে মনু মানেসর। রাজস্থান পুলিশের একটি সূত্র এমনই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনুকে ১৫ দিন জেল হেপাজতে পাঠিয়েছে রাজস্থানের দীগ জেলা আদালত।

গত ফেব্রুয়ারিতে হরিয়ানার ভিওয়ানিতে মিলেছিল রাজস্থানের দুই যুবক নাসির এবং জুনেইদের অগ্নিদগ্ধ দেহ। হরিয়ান রাজস্থান সীমান্তে মেওয়াত এলাকায় গোরক্ষার নামে একাধিক হত্যাকাণ্ড চলেছে। অনেককে শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। আরএসএস’র শাখা বজরঙ দলের সরাসরি যোগাযোগের অভিযোগ উঠলেও তাদন্ত নানা কারণে আটকে গিয়েছে। 

পুলিশের ওই সূত্রটি জানিয়েছে যে নাসির এবং জুনেইদের অপহরণের সময় এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিঙ্কু সৈনির সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছিল তার। এর আগে রাজস্থান পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিঙ্কুকে। সে মনু মানেসরের যোগাযোগ জানিয়ে দেয়। 

স্বঘোষিত ‘গোরক্ষা’ বাহিনী গড়ে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক আক্রমণে নাম এসেছে মনু মানেসরের। নাসির ও জুনেইদ হত্যার তদন্তে গেলে রাজস্থান পুলিশকে আটকেছিল হরিয়ানার পুলিশ। হরিয়ানার বিজেপি সরকার এবং রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মধ্যে বিরোধ সামনে চলেও আসে। সম্প্রতি মনু মানেসর এবং তার বাহিনীর যোগাযোগ ধরা পড়ে হরিয়ানার সংখ্যালঘু প্রধান নুহ জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসায়। 

পুলিশের ওই সূত্রের বক্তব্য, মনু মানেসর কেবল জড়িত ছিল নাকি সে-ই হত্যাকাণ্ডের প্রধান ষড়যন্ত্রী, এখন সেটিই খুঁজে দেখা হচ্ছে। রাজস্থান পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে মোট চার অভিযুক্তকে। আরও ২৬ জনকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোঁজা হচ্ছে। 

মনু মানেসরের আসল নাম মোহিত যাদব। হরিয়ানার নুহে সাম্প্রদায়িক হিংসা হয় জুলাইয়ের শেষ থেকে। বজরঙ দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে ‘যাত্রা’ থেকে শুরু হয় দাঙ্গা, নিহত হয়েছেন ৬ জন। তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। মনু মানেসরকে গ্রেপ্তারও করতে হয়। 

রাজস্থান পুলিশ হরিয়ানার নুহ জেলার আদালত থেকে ট্রানসিট রিমান্ড পেয়ে মনু মানেসরকে নিয়ে আসে দীগে। জেলার গোপালগড় থানার পুলিশ আধিকারিক সন্তোষ শর্মা বলেছেন, ‘‘আদালত ১৫ দিনের জেলা হেপাজত দিয়েছে।’’

দীগ জেলারই আগে নাম ছিত ভরতপুর। ফেব্রুয়ারিতে এই জেলার ঘটমিকা গ্রামের দুই যুবক জুনেইদ এবং নাসিরকে অপহরণ করে ‘গোরক্ষা’ বাহিনী। তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হত্যা করা হয় এই দুই যুবককে।      

Comments :0

Login to leave a comment