শুক্রবার কাঁকসার শিল্পতালুক বামুননাড়ায় বেসরকারি ভিএসপি উদ্যোগ ইস্পাত কারখানায় সিমেন্টের পাঁচিল চাপা পড়ে কর্মরত দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন দুইজন। মৃত এবং আহতরা সবাই ঠিকা শ্রমিক। মৃতদের নাম রাম টুডু (৪০), বাড়ি কাঁকসার করণডাঙা আদিবাসীপাড়ায়। এবং চন্দন মাল(৩৫), বাড়ি কাঁকসা গোপালপুর পশ্চিমপাড়ায়। আহত বুলু মাল ও সুরেশ কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে এই কারখানা তথা এলাকার তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা পালিয়ে যায়। ক্ষুব্ধ মানুষ কারখানায় ঢুকে প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালায়।
এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ। কারখানার সুউচ্চ বিশাল হেলে পড়া পাঁচিলের গা ঘেঁষে নিকাশি নালা তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ সশব্দে পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে। চারজন কর্মরত শ্রমিক চাপা পড়েন। দুই জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। অনেক বিলম্বে পুলিশের উপস্থিতিতে মেসিন লাগিয়ে পাঁচিলের ধ্বংসাবশেষ সরানো হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা, এসিপি( কাঁকসা) সুমন জয়সওয়ালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে।
এই কারখানাটি ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। দুই বছর বন্ধ থাকার পর মালিকানা হস্তান্তরিত হয়ে আবার কারখানা চালু হয়। আগে ১০৪ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কারখানা নতুন করে খোলার পর ৩২ জন শ্রমিককে বহাল করা হয়নি। শাসকদলের মাতব্বররা নিজেদের লোক ঢুকিয়েছিল। বেসরকারি কারখানাগুলিতে নিরাপত্তা বিধি মানা হয়না এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ ফ্যাক্টারি ইন্সপেক্টার কোনো কারখানা পরিদর্শন করেনা। শাসকদলের নেতাদের প্রশ্রয়ে মালিকপক্ষের স্বেচ্ছাচার চরমে উঠেছে। বিপজ্জনক পাঁচিলের গায়ে শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, শ্রমিকরা চাপা পড়েছে জেনেও কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারের কোনো চেষ্টাই করেনি।
Factory Wall Collapses
কাঁকসায় ইস্পাত কারখানার পাঁচিল চাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
×
Comments :0