K Kavita Bail

শিক্ষিত মহিলাও জামিন পেতে পারেন, কবিতা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

জাতীয়

মহিলা শিক্ষিত বলে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করা যায় না। এমনকি তিনি বিধায়ক হলেও আইনি সংস্থান থেকে বঞ্চিত করা যায় না। বিআরএস নেত্রী কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করে এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় জামিন হয়েছে কবিতার। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘তদন্ত শেষ হলেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কবে শুরু হবে জানা যাচ্ছে না। অনির্দিষ্টকাল কাউকে বিচারাধীন বন্দি রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয়।’’
দিল্লি হাইকোর্ট কবিতার জামিনের আবেদন নাকচ করে বলেছিল, অর্থ পাচার রোধ আইনে বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি মহিলাদের জামিনের সংস্থান আছে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারী শিক্ষিত এবং তিনি বিধায়ক। সেই কারণে জামিন দেওয়া যাবে না। এই পর্যবেক্ষণ খারিজ করে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালতের উচিত আইনের নির্দিষ্ট প্রয়োগ করে বিচার করা। কেউ শিক্ষিত বা বিধায়ক বলে আইন প্রযোজ্য নয়, এমন মত দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।
দিল্লিতে ‘আপ’ সরকারের বিরুদ্ধে আবগারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। অভিযোগে বলা হয় যে নতুন আবগারি নীতিতে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়। লাইসেন্সের বিনিময়ে অর্থ নেওয়া হয়েছে। 
তেলেঙ্গানার বিআরএস নেত্রী কবিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে লাইসেন্স পাইয়ে দিতে সক্রিয় ছিলেন। এই মামলাতেই বন্দি করা হয় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই মামলায় কিছুদিন আগে জামিন হয়েছে সিসোদিয়ারও। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেজরিওয়াল ইডি’র মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই’র মামলায় হয়নি।

Comments :0

Login to leave a comment