RG Kar victim's family

উৎসবের চার দিন ধর্ণায় বসছেন নির্যাতিতার পরিবার

রাজ্য

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত অবস্থায় নারকীয় বর্বরতার শিকার পিজিটি তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রায় দু'মাস হতে চলল। এখনও মেলেনি বিচার। বিচার চেয়ে পুজোর চারদিন ধর্ণায় বসবেন নারকীয় বর্বরতার শিকার পিজিটি তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। বাড়ির সামনেই মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে। রবিবার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের কথা উঠতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে, কান্না চেপে রাখতে পারলেন না আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত অবস্থায় নারকীয় বর্বরতার শিকার পিজিটি তরুণী চিকিৎসকের মা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বললেন, ‘‘ওরাও তো আমার সন্তান। সরকার ওদের সাথে এরকম অমানবিক ব্যবহার করছে কেন বুঝতে পারছি না। আমার একান্ত অনুরোধ, মানবিক হয়ে ওদের সাথে আলোচনা করা হোক’’। মৃতা চিকিৎসকের বাবা বললেন, ‘‘ওরা আগে থেকেই সরকারকে একটা সময় সীমা বেঁধে দিয়েছিল, সেই সময় সরকার আলোচনা করলে অনশন হতো না। আলোচনা করলে সব সমস্যারই সমাধান হয়। সেটা না করে ওদের উপরে নানান চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কেন মাথায় আসছে না। এমনকি ই-মেইলে আবেদন করা সত্বেও, তাদের বায়োটয়েলেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা অমানবিক কাজ।’’ কুলতলির ঘটনার উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, এই ঘটনার সংবাদ টিভিতে দেখে আমরা ভারাক্রান্ত। আরজি করের ঘটনার মতোই, এখানে দুষ্কৃতীদের সাহায্য করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দুষ্কৃতকর্ম যারা করছে তাদের মাথায় পুলিশ প্রশাসনের হাত থাকার জন্যই সর্বত্রই এরকম সব ঘটনা হচ্ছে। তাঁরা জানান, নিজেদের বাড়িতে এবছরে আর পুজো হবেনা, পরিবর্তে ৯ অক্টোবর থেকে চার দিন ধরে পরিবারের পক্ষ থেকে হবে ধর্ণা মঞ্চ। বাড়ির যে উঠোনে সকলের উপস্থিতি ঘটতো সেখানেই ধর্ণা মঞ্চ করে পরিবারের সদস্যরা বসে থাকবেন। কাউকেই বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না তবে, রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বরা এখানে এলে ধর্ণা মঞ্চে তারা বসতে পারবেন না। মঞ্চের নিচে গিয়ে তাঁদের সাথে কথা বলবেন পরিবারের সদস্যরা। আর জি করের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এটি একটি দুর্ঘটনা একথা উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে, মৃতা তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিল। তাহলে তার উপরে যারা নির্যাতন করে তাকে খুন করেছে, যারা তথ্য-প্রমাণ  নষ্ট করেছে, দুর্ঘটনা কথাটা কি তাদের এই কাজের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে" ?

Comments :0

Login to leave a comment