একই রশির এক প্রান্তে কিশোরী কন্যার দেহ আরেক প্রান্তে পিতার দেহ ঝুলছে। এমনই এক মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে গেল গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার সকালে জোড়া মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ধূপগুড়ি থানা এলাকার ঝার আলতা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর খট্টিমারির ঢ্যাংকালি বাজারের কাছে বেলতলি গ্রামের এবং আশপাশের অনান্য গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গেছে এই গ্রামের অত্যন্ত দরিদ্র দিন মজুর বাদল রায়(৩৪) তাঁর একমাত্র কন্যা সন্তান কেয়া রায়(১১)কে নিয়ে থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে দুজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের বৌদি ভারতী রায় বলেন, দেওরের স্ত্রী কিছু দিন আগেই সংসার ছেরে চলে গেছেন। অনান্যদিনের মতো দেওরের মেয়েকে রাতে খোঁজ করছিলাম। কিন্ত দরজা বন্ধ দেখি। বাবা মেয়ে কাউকে দেখতে পাইনি। সকালে খোঁজ করতে এসে দেখি দরজা বন্ধ, ডাকাডাকি করে কাউকে পাইনি। ভয়ে নান্যদের ডাকি। তাঁরাও অনেকবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখতে পান একই দড়িতে ঝুলছে বাবা ও মেয়ে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে জানানো হয়।
মৃতের ভাইপো নৃপেন রায় বলেন, ‘‘বাবা মেয়ে মিলে কষ্টে সৃষ্টে চলছিলো। মাঠে কাজ না পেলে অন্যকাজ করতেন। কিছুদিন রাজমিস্ত্রীর সাথে কাজ করেছিলেন।’’ গ্রামের মানুষের বক্তব্য দারিদ্র্যতার কারণে স্ত্রী চলে যাওয়ার পর মন বেশি খারাপ ছিল। তবে দারিদ্র্যতা অন্যতম কারণ। তাদের অনুমান মেয়েকে খুন করে তারপর বাবা নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন আত্মহত্যা না খুন তা পুলিশ তদন্তে ও ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। দেহগুলি জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তারপর গ্রামে গিয়ে তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন এটা খুন না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্তের পরেই জানা যাবে।
Dhupguri
ঝুলন্ত বাবা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার ধূপগুড়িতে
×
Comments :0