SFI, DYFI LALBAZAR

কোন প্রমান যাতে লোপাট না হয় তার জন্য লড়াই চলবে : মীনাক্ষী

রাজ্য

ছাত্র, যুব, মহিলাদের লালবাজার অভিযান। ছবি : অমিত কর

‘‘দোষীদের শাস্তি চাওয়া যদি আমাদের অপরাধ হয়। বুক দিয়ে পুলিশের আক্রমণ সহ্য করে মৃতার শববাহী গাড়ি আটনো যদি অপরাধ হয় তাহলে আমরা বার বার এই কাজ করবো যাতে পুলিশ তথ্য প্রমান লোপাট করতে না পারে।’’ লালবাজার থেকে বেরিয়ে একথা বললেন মীনাক্ষী মুখার্জি।
গত ১৪ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় সমন পাঠানো হয় মীনাক্ষী মুখার্জি সহ সাতজনকে। শনিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল করে লালবাজারের দিকে যায় ছাত্র, যুব, মহিলারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলে মিছিল। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানো হয়। সেখানে থেকে লালবাজার যায় মীনাক্ষীরা। সাথে ছিলেন আইনজীবীরা।
এদিন ডিওয়াইএফআই’এর রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘পুলিশ অপরাধীদের ধরতে পারছে না। প্রতিবাদীদের নোটিশ দিচ্ছে। যারা ভাঙলো তাদের ছবি থাকতেও পুলিশ তাদের শাস্তি দিতে পারছে না। টালবাহানা করছে। আরজি করের দোষীদের শাস্তির দাবিতে যাতে কেউ না পথে নামে তার জন্য পুলিশি দমন চলছে।’’


গত ১৪ আগস্ট রাতে আরজি করের নির্যাতীতার জন্য বিচার চেয়ে যখন গোটা রাজ্য রাত জাগে সেই সময় মধ্যরাতে একদল দুষ্কৃতি হামলা চালায় হাসপাতালে। ভাঙা হয় প্রতিবাদী চিকিৎসকদের মঞ্চ। মারধর করা হয় তাদের। ভাঙা হয় হাসপাতালের একাধিক ইউনিট। ঘটনার পর দিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকজনের ছবি পোস্ট করে সন্ধান চাওয়া হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী যখন মন্তব্য করেন যে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা তখন সমন পাঠানো হয় নেতৃত্বকে। 
উল্লেখ্য প্রমান লোপাটের জন্য সেমিনার রুম ভাঙা আটকে ছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। নির্যাতীতার দেহ যখন পরিবারের সদস্যদের দেখতে না দিয়ে তরিঘরি সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তা আটকায় মীনাক্ষী মুখার্জিরা। তারপর বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য।

Comments :0

Login to leave a comment